ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর পরিদর্শনে দুই দেশের প্রতিনিধি দল

0

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরকে আরও উন্নত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ভারত সরকার। প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে প্রায় ৫শ' থেকে ৬শ' পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বসিরহাট মহকুমায় ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দর। ১৯৯৪ সালে এটি আন্তর্জাতিক বন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি থেকে মোটা অংকের রাজস্ব পেয়ে আসছে ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার।

তবে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ সীমান্তে সরকারি কোন গোডাউন নেই, নেই সেন্ট্রাল পার্কিং। এমনকি অন্য রাজ্য থেকে আসা ট্রাক চালকদের থাকার কোন সরকারি হোটেলও নেই। এতে দূর থেকে আসা ব্যবসায়ীরা পড়েন নানা অসুবিধায়।

এসব কারণে ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যসব বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি করছেন তারা।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে শুক্রবার বাংলাদেশ ও ভারতের দশজনের প্রতিনিধি দল বন্দর পরিদর্শন করেন। দ্রুত বন্দরের উন্নয়নে কাজ শুরুর আশ্বাস দেন তারা।

ভারত ল্যান্ডপোর্ট অথিরিটির চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র্র বলেন, 'পেট্রাপোলের মতো এখানেও ল্যান্ডপোর্ট বানানো হবে। পশ্চিমবঙ্গ ক্যাবিনেট ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে এতে। জমি পাওয়ার পরই কাজ শুরু হবে। সব আধুনিক সুবিধা পাওয়া যাবে এই বন্দরে।'

ভোমরা স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক রুহুল আমীন বলেন, 'উন্নয়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভোমরা, বেনাপোল এবং ভুড়িমারী স্থলবন্দরের জন্যও প্রায় সাড়ে তিনহাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০ একর জমি অধিগ্রহণ হয়েছে এবং আরও ৬০ একর হবে।'

ঘোজাডাঙ্গা বন্দরের উন্নয়ন হলে আশপাশে থাকা অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।