দেশে এখন
0

পটুয়াখালীতে মৌসুমজুড়ে ৩ কোটি টাকার পিঠা বিক্রি

শীতে সড়কের পাশে রকমারি পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। শহরজুড়ে এমন দোকানের সংখ্যা শতাধিক।

প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িত পিঠা-পায়েস। যেকোনো উৎসব-পার্বণে পিঠার কোন বিকল্প নেই।

শীত আসলেই পটুয়াখালী শহরে বা ব্যস্ত সড়কের পাশে বাহারি পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। চিতই, ভাঁপা, পাটিসাপটাসহ দেখা মেলে মুখরোচক বিভিন্ন পিঠার। বিভিন্ন উপকরণে তৈরি এসব পিঠা স্বাদে ও ঘ্রাণেও অতুলনীয়।

সন্ধ্যা নামতেই ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে ওঠে হরেক করকম পিঠার ছোট ছোট দোকান। আর অনেকেরই বাসা-বাড়িতে পিঠা বানানোর সময় ও সুযোগ না থাকায় ভরসা এ দোকানগুলো।

ক্রেতা বলেন, নানান ধরনের পিঠা পাওয়া যায় এখানে। বাসায় আর এসব পিঠা বানায় না। তাই এখানে অনেকেই খেতে আসে। বিভিন্ন দিয়ে খাওয়া যায়।

পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন স্থানে এমন পিঠার দোকান রয়েছে শতাধিক। এসব দোকানে প্রতিদিন আয় হয় পাঁচ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। পিঠা তৈরির উপকরণ প্রস্তুত থেকে বিক্রি পর্যন্ত একাজে জড়িত নারীরা। আর মৌসুমে পিঠা বিক্রি করে বাড়তি অর্থ রোজগার হওয়ায় খুশি তারাও।

বিক্রেতারা বলেন, 'বিকাল থেকেই বেচাকেনা শুরু হয়ে যায়। সন্ধ্যার পর ভিড় বাড়ে। এই কাজ করেই সংসার চালাই।'

পিঠা ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলে জনপ্রিয় চালের রুটি। এ রুটি বিক্রি করেই পৌর শহরের মুসলিমপাড়া এলাকার মুক্তা আক্তারের সংসার চলে। তবে, শীতে এর সাথে বাড়ে হাঁসের মাংসের কদর। এতে আয়ও বাড়ে ব্যবসায়ীদের।

পিঠা বিক্রেতা মুক্তা বলেন, 'এই পিঠা ও রুটি ঢাকায়ও যায়। এগুলো বানিয়েই আমরা চলি। অনেক্নেই নেয় তাই বেচাকেনা ভালো।'

মৌসুমী পিঠা ব্যবসায়ীদের সহায়তা ও পরিধি বাড়াতে সহায়তার আশ্বাস বিসিক শিল্পনগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর সিকদারের।

তিনি বলেন, 'আমরা সকল উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করি। বিসিক আয়োজিত মেলায় আমরা তাদের পিঠা বিক্রি অথবা পরিদর্শনের ব্যবস্থা করে দিব।'

পটুয়াখালীতে শীতের মৌসুমে এসব দোকান থেকে অন্তত ৩ কোটি টাকার পিঠা বিক্রি হয়।

আরও পড়ুন: