নির্বাচনী মাঠে চলছে প্রচারণার মহাযজ্ঞ। আর এই প্রচারণায় ব্যবহৃত হচ্ছে নানা উপকরণ। ব্যস্ততা বেড়েছে নোয়াখালীর সাউন্ড সিস্টেম ও ছাপাখানাগুলোতে।
নোয়াখালীর বাণিজ্য কেন্দ্র খ্যাত চৌমুহনীর প্রকাশনা শিল্প। একুশে বইমেলার গোড়াপত্তনকারী চিত্তরঞ্জন সাহা'র হাত ধরে পুঁথিঘর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আরও অনেক প্রকাশনা সংস্থা পুঁথিঘরের মাধ্যমে শুরু হওয়া যাত্রাকে সমৃদ্ধ করেছে।
জেলার ৯টি উপজেলায় বর্তমানে নিবন্ধিত ৩০টি ছাড়াও প্রায় শতাধিক ছাপাখানা রয়েছে। নির্বাচনী মাঠকে চাঙ্গা রাখতে এসব ছাপাখানায় চলছে পোস্টার ব্যানার ছাপানোর কাজ।
শ্রমিকরা বলেন, আমাদের হাতে এখন ভরপুর কাজ আছে। আমরাও রাতদিন পরিশ্রম করে সেভাবে কাজ করছি। নির্বাচনে ভাল কাজ পেয়েছি। আশা করছি আরও কাজ বাড়বে।'
গানে গানে প্রার্থীদের ইশতেহার ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেয়ার মধ্য দিয়ে তাদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রার্থীরা ভাড়া নিচ্ছেন মাইক আর সাউন্ড সিস্টেম। বেড়েছে মৌসুমী কর্মসংস্থান।
ব্যবসায়ীরা বলেন, 'নির্বাচনে আমাদের সাউন্ড বক্স আর মাইক ভাড়া হচ্ছে অনেক। আগের তুলনায় অনেক ব্যস্ত আমরা। গত দেড় বছরে সব কিছুর দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। তাই এবারে নির্বাচনী প্রচারণায় বাড়বে খরচ। ছাপাখানার মালিকরা বলেন, কাগজ, কালি ও অন্যান্য কাঁচামালের দাম বাড়ায় আগে যে পোস্টার দুই টাকা ছিল তা এখন চার টাকা করে নিতে হচ্ছে।'
মুদ্রণ শিল্পের ঐতিহ্যের জনপদ নোয়াখালীতে শতাধিক ছাপাখানায় কাজ করছেন ৩ শতাধিক গ্রাফিক্স ডিজাইনারসহ হাজার খানেক শ্রমিক।