রোববার মমিনুল হক সাঈদ (২৪ ডিসেম্বর) নিজ প্রতীক ঈগলের পরিবর্তে নৌকার পক্ষে প্রচার চালান। এ সময় তিনি বলেন, 'কোনো ধরনের চাপে পড়ে নয়, নৌকার স্বার্থে আমি নির্বাচন থেকে সরে শেখ হাসিনার প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছি। যেহেতু এখন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ নেই, সেহেতু আমি নিজে সশরীরে নৌকার পক্ষে প্রচার চালিয়ে ভোটারদের আমার সরে যাওয়ার বিষয়টি অবগত করছি'।
২০১৫ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর সাঈদ মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা চালু করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। র্যাবের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময় গোপনে দেশ ছাড়েন তিনি। পরবর্তীতে অভিযান থেমে গেলে দেশে ফিরেন সাঈদ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
ঈগল মার্কা থেকে সরে দাঁড়িয়ে নৌকা প্রতীকের প্রচরণা করছেন মমিনুল হক সাঈদ। ছবিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তিনি আরও বলেন, 'আমি চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলাম। সেজন্য যথাসময়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারিনি। তবে ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি আমি জানিয়েছি'।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ বলেন, 'যেহেতু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে, সেহেতু এখন আর কোনো প্রার্থীর আনুষ্ঠানিকভাবেনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। মমিনুল হক সাঈদ ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও ব্যালট পেপারে তার নাম এবং প্রতীক থাকবে'।
ব্রাহ্মবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফয়জুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. জামাল সরকার, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুস এবং তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩০৭ জন।

