গানসু প্রদেশে স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পনটি সৃষ্টি হয়, যে কারণে এর তীব্রতা বেশি ছিল। এতে গানসুর পাশাপাশি কিংহাই প্রদেশেও বেশকিছু ভবন ধসে পড়ে। গানসুতে ভূমিকম্পে শতাধিকের বেশি এবং কিংহাইতে নয়জন মারা যান।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নির্দেশে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর থেকে ভূমিকম্প কবলিত এলাকাগুলোতে জোরেসোরে উদ্ধারকাজ চলছে। স্থানীয় উদ্ধারকর্মীদের সহযোগিতায় ২ হাজার ২০০ সদস্যের বাড়তি জনবল পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন।
ভূমিকম্পের পর পুরো অঞ্চলে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। গানসু ও কিংহাই প্রশাসন এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
এদিকে গানসুতে আঘাতের কয়েক ঘণ্টা পরই প্রতিবেশী জিনজিয়াং প্রদেশেও আঘাত হানে ৫.৫ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির তথ্য জানা যায়নি।
ইউরেশিয়ান, ভারতীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়সহ বেশ কয়েকটি টেকটনিক প্লেটের ওপর চীনের অবস্থান হওয়ায় দেশটি বেশ ভূমিকম্পপ্রবণ। গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।