দেশের ২৫টি প্রকাশনা সংস্থাসহ ৭০টি স্টল এতে স্থান পেয়েছে। উদ্বোধন করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ও লেখক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিদেশে বইমেলা আয়োজন করা সহজ নয়। এখানে বেশি পাঠক থাকেন না, কিন্তু বইমেলা আবার পাঠক তৈরি করে। আমি বিশ্বাস করি, মেলার মাধ্যমে অনেকেই বই পড়ার প্রতি আগ্রহী হবেন।’
মেলার প্রথম দিন চারটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ সময় কবি, লেখক ও পাঠকদের উপস্থিতিতে মেলা প্রাঙ্গণ মুখর হয়ে উঠে।
কবি ও ঔপন্যাসিক সাদাত হোসাইন বলেন, 'দুবাইয়ে বইমেলার আয়োজন সত্যিই আনন্দের। আশা করছি, এই আয়োজনে লেখক, পাঠক ও প্রবাসী বাঙালিরা স্বতস্ফূর্তভাবে আসবেন।'
প্রবাসী এক পাঠক বলেন, ‘বইমেলার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। মেলায় এসে ভালো লাগছে, পছন্দের লেখকের কিছু বই কিনেছি।’
দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, ‘বাঙালি লেখক, পাঠক ও দর্শনার্থীরা এখানে আসছেন। এই মেলার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম বাঙালি সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারছে এবং বই পড়ার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।’
বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, এই বইমেলা প্রবাস প্রজন্মকে বাঙালি সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করবে।
শুধু বইয়ের স্টলই নয়, মেলার খাবারের দোকানেও প্রবাসী বাঙালিদের ভিড় ছিল। মেলা প্রাঙ্গণে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। এছাড়া প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো উদ্বুদ্ধ করে।