অর্থনীতি
দেশে এখন
0

মানিকগঞ্জে সাড়ে তিনহাজার কোটি টাকার সবজি উৎপাদন

অভিজিৎ শান্ত
মানিকগঞ্জ

চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে লালশাক, পালংশাক, ফুলকপি, বাধাকপি, মুলা, শিম, বেগুন, লাউ, গাজর ও টমেটোর আবাদ হচ্ছে।

মানিকগঞ্জ সদর, সিংগাইর ও সাটুরিয়া উপজেলার বিস্তৃর্ণ জমিতে দেখা মিলছে নানা জাতের শীতকালীন সবজি। এখানে বিশাল এলাকা জুড়ে চলছে শীতকালীন সবজি চাষ। নানা জাতের এসব সবজি আবাদে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে কৃষকদের।

ফলন ও দাম ঠিক থাকলে মানিকগঞ্জে এই মৌসুমে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার সবজি বিক্রির আশা কৃষি বিভাগের। গেল মৌসুমে আড়াই হাজার কোটি টাকার শীতকালীন সবজি বিক্রি হয়েছিল।

অন্যান্য ফসলের চেয়ে কম সময়ে ফলন আর অধিক লাভের কারণেই দিন দিন প্রসার পাচ্ছে সবজি চাষ। প্রতি বিঘায় সার, কিটনাশক ও চারার জন্য ব্যয় হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।

সবজি চাষিরা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেও আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। গত বছরের ১১০০ টাকার সাদা সার এখন ১৬০০ আর টিএসপি কিনতে হচ্ছে ১৭০০ টাকায়। সরকার সার-কিটনাশকের দাম কমালে আমরা উপকৃত হতাম।

তবে উন্নত প্রশিক্ষণ ও পর্যাপ্ত সহায়তা পেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি বিদেশেও রপ্তানি সম্ভব বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষকরা।

কৃষি বিভাগ বলছে, গত দুই বছর ধরে কৃষকদের একাধিক সাঁথি ফসল করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, এই অঞ্চলের সবজি দেশের বাইরে রপ্তানি হবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রেও অর্জন হবে। এই বছর তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা সমমূল্যের সবজি উৎপাদন হয়েছে।

সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মানিকগঞ্জের প্রায় আড়াই লক্ষাধিক কৃষক। নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তারা।



 

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর