ঝালকাঠির কৃর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের শতদশকাঠি গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা আশিষ হালদার অনেকটা শখের বশেই শুরু করেছিলেন কমলার চাষ। ২০২০ সালে ৩০ শতাংশ জমিতে ৫০টি বারি-২ জাতের কমলা গাছ রোপণ করেন তিনি। এরপর দুইবছর অল্প করে কমলার ফলন পান। তবে এবছর অনেক বেশি ফলন পেয়েছেন আশিষ।
বাগানের প্রতিটি গাছেই ঝুলছে থোকায় থোকায় সুস্বাদু কমলা। এরইমধ্যে দেড়শ টাকা কেজি দরে দুই মণ কমলা বিক্রি করেছেন আশিষ হালদার। শুধু ফল উৎপাদন নয় আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি করেছেন সমতল জমিতে চাষ উপযোগী প্রায় এক হাজার কমলার চারা।
আশীষ হালদার এখন টেলিভিশনকে বলেন, 'বাজারের কমলা আর এই কমলার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি করছি। ১২ মণ কমলা ১ লাখ টাকা বিক্রি করা সম্ভব। এবছর ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকবে আমার। যদি ব্যবসার পরিধি বাড়ানো যায় তাহলে লাভও বাড়বে।'
প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে বাগান দেখতে আসছেন মানুষ। ঘুরে দেখার পাশাপাশি নিচ্ছেন নানা পরামর্শ।
দর্শনার্থী ও স্থানীয়রা জানান, কমলা বাগান হয়েছে শুনে আমাদের দেখার আগ্রহ জাগে। দেখে খুব ভালো লাগলো তাই কিছু কমলাও অর্ডার করেছি।
কমলা চাষে আগ্রহীদের পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন ঝালকাঠির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
আশীষের এই সফলতা উদ্যোক্তাদের উৎসাহ যোগানোর পাশাপাশি জেলার কৃষি অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।