পরিষেবা
অর্থনীতি
0

উৎপাদন কমছে তিতাস গ্যাসফিল্ডের

শাহনুর শাকিব
ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বিজিএফসিএল এর অধীন পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডের মধ্যে অন্যতম বড় তিতাস। কয়েকটি কূপ বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ নানা কারণে উৎপাদন কমছে প্রাচীন এই গ্যাস ফিল্ডের।

উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এরইমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে দুইটি ওয়েলহেড কম্প্রেসর। এছাড়াও নতুন আরও দুইটি কম্প্রেসরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

তিতাস গ্যাস ফিল্ডে উৎপাদনে থাকা ২৩টি কূপ থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ৩৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। তবে গ্যাসের মজুত কমতে থাকায় গত কয়েক বছর ধরে কমছে উৎপাদন ও গ্যাসের চাপ। বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের চাপ ৭০০ পিএসআই হলেও তিতাসের কূপগুলোতে চাপ কমে ৬০০ তে নেমেছে। যা প্রতিনিয়তই কমছে।

এজন্য জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের চাপের সাথে সমন্বয় রেখে উত্তোলন ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিতাস গ্যাসফিল্ডে বসানো হচ্ছে ৪টি ওয়েলহেড কম্প্রেসর। এরইমধ্যে 'এ' এবং 'সি' লোকেশনে দুটির কাজ শেষ হয়েছে আর 'ই' এবং 'জি' লোকেশনে আরও দুটি কম্প্রেসরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। বিজিএফসিএলের কর্মকর্তা বলছেন, এর ফলে গ্যাসের চাপ বাড়বে।

বিজিএফসিএল এর মহাব্যবস্থাপক উত্তম কুমার সরকার বলেন, 'এ' লোকেশন থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যস সরবারহ করতে পারছি। একইভাবে 'সি' লোকেশন থেকে ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যস সরবারহ করে থাকি।

এছাড়া তিতাসসহ বাকি গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন বাড়াতে বন্ধ হয়ে যাওয়া কূপের ওয়ার্কওভার এবং নতুন আরও কূপ খননের কাজ চলছে বলে জানান বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান।

যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেল অয়েলের কাছ থেকে তিতাস, হবিগঞ্জ, কৈলাসটিলা, বাখরাবাদ ও রশিদপুর গ্যাসফিল্ড কিনে রাষ্ট্রীয়করণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরমধ্যে তিতাস, হবিগঞ্জ ও বাখরাবাদ গ্যাসফিল্ড পরিচালিত হচ্ছে বিজিএফসিএলের অধীনে। দেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের মোট উৎপাদনের ২০ শতাংশেরও বেশি আসে বিজিএফসিএল পরিচালিত পাঁচটি গ্যাসফিল্ড থেকে।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর