১০ হাজার বর্গকিলোমিটারের সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে সর্পিল আকৃতির অসংখ্য নদী বয়ে গেছে। এসব নদী দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় দুই দেশের পন্যবাহী নৌযান চলাচল করে। এবার এই নৌপথে ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত বেসরকারিভাবে যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।
ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে জাহাজটিতে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। তিন তলা জাহাজটির পুরোটাই কেবিন সুবিধার, নিচতলায় তুলনামূলক কম ভাড়ার কেবিন রয়েছে। যেখানে প্রতিটি রুমে ৪ জন করে থাকতে পারবেন। আর দুই ও তিন তলায় প্রিমিয়াম, ভিআইপি এবং ডাবল ও সিঙ্গেল কেবিন রয়েছে। এছাড়া জাহাজে খাবারের জন্য আলাদা জায়গা ও জুসবারসহ নানান সুবিধা থাকবে।
বিলাসবহুল রাজারহাট সি
জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানান, ২৯ নভেম্বর ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর হাসনাবাদ টার্মিনাল থেকে রাজারহাট সি নামের জাহাজটি কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। ১ ডিসেম্বর সকালে কলকাতায় পৌছে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪ ডিসেম্বর ছেড়ে আসবে জাহাজটি। সরাসরি, অনলাইন ও ট্যুর অপারেটরদের কাছে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
ইকো ট্রাভেলারসের প্রধান অপারেটর আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘সবাই নৌপথে সুন্দরবন হয়ে কলকাতা যেতে যেতে চাচ্ছেন। বিশেষ করে যারা নদী ও প্রকৃতি ভালোবাসেন তাদের মাঝে আগ্রহ বেশি দেখছি।’
ঢাকা-কলকাতা রুটে জাহাজ চালুর উদ্যোক্তা জানান, ইতোমধ্যে ভারত ও বাংলাদেশে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ অংশে সাতক্ষীরার আংটিহারা আর ভারত অংশে হেমনগরে নদীর মধ্যেই যাত্রীদের ইমিগ্রেশন হবে। এই রুটের মাধ্যমে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়বে বলে প্রত্যাশা জাহাজ কর্তৃপক্ষের।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এই রুটে তিনটি সরকারি জাহাজ নামানোর কাজ চলছে। এছাড়া পুরো রুটের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই দেশের মধ্যেই একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। বেসরকারি আরও কোন জাহাজ কোম্পানি যদি এই রুটে জাহাজ নামাতে চায় তাদেরকে স্বাগত জানানো হবে।’ ভিসা জটিলতা নিরসনে দুই দেশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।