টানা দুই বছর ধরে ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি ডলারের দর সামান্য কমানো হলেও এবার লাগাম পড়েছে। আর ডিসেম্বরে আসছে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি। রেমিট্যান্সও বাড়ছে প্রতি মাসে। সবমিলিয়ে দেশের অর্থনীতি আবার বেগবান হওয়ার ইঙ্গিত দিলো বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।
গভীর ডলার সংকট থেকে এবার যেন উঠতে শুরু করছে দেশের অর্থনীতি। ক্রমাগত বেড়ে চলা ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে।
দেশের সমসাময়িক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, বর্তমানে রিজার্ভ কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক এক ছয় বিলিয়ন ডলার। তারল্য সংকট কাটিয়ে উঠেছে অনেক ব্যাংক। গেলবছরের তারল্যের পরিমাণ ছিল ১২ বিলিয়ন ডলার- যা বর্তমানে ব্যাংকগুলোর কাছে আছে ২৮ দশমিক এক দুই বিলিয়ন ডলার।
ডিসেম্বরের মধ্যেই মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। মূল্যস্ফীতি কমাতে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণসহ নানা পদক্ষেপের পর এখন যেন আস্তে আস্তে ইতিবাচক হতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতি। এমনটাই বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এরআগে, বুধবার বাফেদা এবং এবিবি এক বৈঠকে সবক্ষেত্রে ডলারের দাম ৫০ পয়সা করে কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এর প্রভাব এখনও খোলা বাজারে পড়েনি। মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারণ করে দেয়া দরেই ডলার কেনা-বেচা হচ্ছে।
এদিকে ডলারের দাম কমায় বিদেশ থেকে আমদানি খরচ কমবে। যার কারণে মুদ্রাস্ফীতিও কিছুটা কমে আসবে বলে আশা অর্থনীতিবিদ জাহাঙ্গীর আলম খানের।
৪২ মাসের মধ্যে সব থেকে কম রেমিট্যান্স এসেছিল গেলো সেপ্টেম্বর মাসে। এরপর তা বাড়তে শুরু করে। তবে ডলারের দাম কিছুটা কমায় প্রবাসী আয়ে প্রভাব এখনই পড়বে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র।
প্রণোদনার আড়াই শতাংশের সাথে ব্যাংকের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা যুক্ত হচ্ছে উল্লেখ মুখপাত্র বলেন- এসব পদক্ষেপে হুন্ডিকে ছাপিয়ে বৈধপথে রেমিট্যান্স আসা অব্যাহত থাকবে।