কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী ছাতা মার্কেটে পর্যটন মৌসুমেও ক্রেতা নেই। আর তাই ব্যবসায়ীদের অলস সময় পার করতেই দেখা গেছে।
লাগাতার অবরোধে ক্ষতি সামাল দিতে না পেরে হতাশ ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে বলে জানান তারা। পর্যটক না থাকায় স্থবিরতা বিরাজ করছে হোটেল-রেস্তোঁরা, পর্যটননির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ জেলার সামগ্রিক অর্থনীতিতে।
ব্যবসায়ীরা জানান, 'এখন পর্যটন মৌসুম, অবরোধ না হলে আমাদের ব্যবসা ভালো হত। অবরোধের কারণে দোকান ভাড়াও উঠাতে পারছি না। পর্যটক না এলে ব্যবসা করা সম্ভব না।'
কক্সবাজারে নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত পর্যটনের ভরা মৌসুম। এসময় প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ হাজার পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করেন। আর ছুটির দিনগুলোতে সেই সংখ্যা লাখেরও বেশি। তবে, এ বছর চিত্র একেবারেই আলাদা। বেশিরভাগ হোটেল মোটেলে খালি পড়ে আছে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ কক্ষ।
হোটেল সিগ্যালের সহকারী ব্যবস্থাপক তারেক আজিজ বলেন, 'অক্টোবর থেকে জানুয়ারি এই চার মাস আমাদের প্রধান পর্যটন মৌসুম। কিন্তু হরতাল-অবরোধের জন্য প্রত্যাশা অনুযায়ী পর্যটক পাচ্ছি না।'
হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবি, হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচীতে এরইমধ্যে শত কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।
এদিকে দূরপাল্লার গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যেও। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা লোকসানের দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের।
ব্যবসা-বাণিজ্য থমকে যাওয়ায় হোটেল-মোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে ।