রাতে কিছু যাত্রী পরিবহন চললেও তা নেমেছে এক তৃতীয়াংশে। স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম থেকে দিনে ৫ হাজারের বেশি যানবাহন দেশের ৬১ জেলায় যাতায়াত করে। যা এখন বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, যাত্রীর উপস্থিতি না থাকায় বাস চালানো বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিতে চালক, হেলপার ও লাইনম্যান।
এক কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, ‘যাত্রী নেই, তারা ভয়ে রাস্তায় বের হয় না। এদিকে গাড়ি ছাড়তে আমরাও হিমশিম খাচ্ছি। গাড়ি না চললেও শ্রমিকদের খাওয়াতে হয়, খরচ দিতে হয়, আসলে আমাদের এখন পুরোটাই লোকসান।’
হরতাল-অবরোধের প্রভাবে চট্টগ্রামের ফুয়েলিং স্টেশনগুলোতে অন্তত ৯০ শতাংশ বিক্রি কমেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে যানবাহন চলাচলের স্থবিরতার বিরুপ প্রভাব পড়েছে বগুড়ার অর্থনীতিতে। ১৫ দিন ধরে দফায় দফায় চলা হরতাল-অবরোধে রাজশাহী বিভাগে পরিবহন খাতেই ক্ষতি হয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা। আয়ের পথ বন্ধ থাকায় বিপাকে পরিবহন শ্রমিকরা।
পণ্য পরিবহন ব্যহত হওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের। আর বিক্রি কমে যাওয়ায় ক্ষতিতে পেট্রোল পাম্প মালিকরাও।
অন্যদিকে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বাস চলাচল করলেও সকাল থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। ২-১টি রুটে বাস থাকলেও তাও ছাড়ে সন্ধ্যার পর। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে পরিবহন চলাচল সীমিত হওয়ায় ক্ষতির মুখে পেট্রোল পাম্প মালিকরা। রাজনৈতিক নানা কর্মসূচিতে তাদের বিক্রি কমেছে কয়েকগুণ।