বগুড়ায় তৈরি টিউবওয়েল, সেচপাম্প, লায়নার, পিস্টন, ফিল্টারসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রাংশ শুধু দেশে বাজারেই নয়, রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। দেশের কৃষি যন্ত্রপাতির ৭০ শতাংশ যোগান দেয় এই জেলা। কিন্তু আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়ায় বাজারেও বেড়েছে প্রতিযোগিতা।
আধুনিকতার ছোঁয়া লাগায় বাজারে পড়তে শুরু করেছে কিছুটা ভাটা। যন্ত্রাংশের দেশিয় বাজার ধরে রাখতে বসানো হচ্ছে ইনডাকশন ফার্নিশ, ভার্টিকেল সিলিং, শর্ট ব্লাস্টের মতো আধুনিক যন্ত্রপাতি।
বগুড়া মদিনা মেটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মালেক আকন্দ বলেন, 'বগুড়ায় আসলে একসময় সেন্ট্রিফিক্যাল পাম্প দিয়ে আমাদের বিপ্লবটা শুরু হয়। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই পাম্পের চাহিদা খুব কমে গিয়েছে। যেহেতু টেকনোলজি ডেভেলপ করছে। আগে যে জায়গায় স্যালো মেশিন চলতো সেখানে এখন বরেন্দ্র চলে আসছে, ডিপ প্রজেক্ট নিয়ে।'
বগুড়া রেজা ইঞ্জিনিয়ারসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম রেজা বলেন, 'কৃষি যন্ত্রাংশের মধ্যে সেন্ট্রিফিক্যাল পাম্প, লায়নার তৈরি করতাম আগে। এগুলোতে দিনের পর্যায়ে সাবমারসিবল পাম্পের কারণে আমাদের সমস্যা তৈরি হয়ে যায়।'
কৃষি যন্ত্রাংশের বাজারে ফাউন্ড্রি ও ইন্জিনিয়ারিংয়ের প্রভাব ধরে রাখতে এ শিল্পের চলছে উন্নয়ন কাজ। কারখানাগুলোতে আনা হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। তবে মূলধন সংকট ও কাঁচামাল আমদানির জটিলতায় উচ্চ সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের।
বগুড়া মদিনা মেটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মালেক আকন্দ বলেন, 'এলসির উপর নির্ভর করতে হয়। বর্তমানে এলসিতে সমস্যা। যার কারণে মার্কেটে দামটা বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের দাম আসলেও বেড়ে গেছে অনেক। আমাদের লোহার দাম অনেক বেড়েছে।'
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করছে সরকার, জানালেন বিসিক কর্মকর্তারা।
বগুড়া বিসিক জেলা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক একে এম মাহফুজুর রহমান বলেন, 'সরকারি যে ক্ষমতা বা সহযোগিতা, আমাদের বিসিকের উপর যে দায়িত্ব সেটি আমরা যথাযথভাবে উদ্যোক্তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।'
বগুড়ার যন্ত্রাংশের শিল্পের আধুনিকায়ন শুধু এই অঞ্চলের অর্থনীতিই নয়, দেশের কৃষিখাতের প্রবৃদ্ধিতেও রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।