নগর কৃষি , সবুজের যত্ন
কৃষি
0

শখের বসে করা ছাদ বাগান থেকে বছরে আয় ৫-৬ লাখ টাকা

লবণাক্ত পরিবেশে বাগান করে সফলতার মুখ দেখেছেন মোংলার এক ছাদ বাগানি। যার ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় পুরস্কার। বছরে আয় করছেন পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা। বাগান দেখতে দূরদূরান্ত থেকে যাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

বছর সাতেক আগে হতাশা থেকে মুক্তি পেতে মুর্শিদা সুমি শুরু করেছিলেন ছাদ বাগান। সেই বাগান এখন রূপ নিয়েছে বাণিজ্যিক বাগানে। বাড়ির আঙিনাজুড়ে ফলজ, বনজ, ঔষধি, মসলাসহ বিভিন্ন অরনামেন্টাল, অর্কিড, হয়া মিলিয়ে সাড়ে তিন হাজার প্রজাতির গাছ তার বাগানে। পাশাপাশি এ বাগানে আছে সবুজ শাকসবজি যা মেটায় পারিবারিক চাহিদা ।

বিভিন্ন জায়গা থেকে এসব গাছ সংগ্রহ করেছেন তিনি। রয়েছে বনসাইসহ নানা প্রজাতির চারা ও গাছ। যা দেখতে প্রতিনিয়তই দূরদূরান্ত থেকে আসেন দর্শনার্থীরা।

মুর্শিদা সুমি বলেন, 'আমার বাগানকে একটা পরিপূর্ণ প্যাকেজ করার চেষ্টা করেছি। এখানে বনজ, ফলজ, ঔষধ সবধরনের গাছ আছে।'

একজন দর্শক বলেন, 'আমি অনেক দূর থেকে এসেছি এই বাগান দেখতে। বাগান দেখে আমি উদ্ভূত হয়েছি। আমি নিজেও এমন বাগান করবো।'

এদিকে উদ্যোক্তাদের ছাদ কৃষিতে উদ্বুদ্ধ করতে কীটনাশক, ঔষধ ও বীজ দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শংকর কুমার মজুমদার বলেন, 'উনার দেখাদেখি আশেপাশে আরও দু'একজন এই ছাদ বাগান তৈরি করেছে। এবং আমাদের কৃষি বিভাগ তাদের সাথে আছে। কারও যদি পোকামাকড় বা রোগবালাইয়ের কোনো সমস্যা হয় তাহলে আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে অফিসাররা সেখানে গিয়ে তাকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।'

ছাদের এই বাগান থেকে প্রতি মাসে মুর্শিদা আয় করেন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। বছর শেষে যা দাঁড়ায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকায়।

এসএস