বিস্তীর্ণ চলন বিল জুড়েই এমন দৃশ্য। দু'চোখ যে দিকে যাবে চোখে পড়বে আলু খেত।
চলন বিলের সিংড়া উপজেলার নিংগইন এলাকার কৃষক মোস্তফা আলী। এক সময় ধান চাষ করতে তিনি। ধানের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় কয়েক বছর ধরে আলু চাষকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন।
এক সময় চলন বিলের এসব জমিতে বোরো ধান চাষ করতেন কৃষকরা। কিন্তু বোরো আবাদে বারবার লোকসান খাওয়ার পরে কৃষকরা আলু চাষে ঝুঁকেছেন। গতবছরের তুলনায় এ বছরও বৃদ্ধি পেয়েছে আলু আবাদ।
গত বছরের তুলনায় ৬০ হেক্টর জমিতে বেড়েছে আলুর আবাদ। রোগ বালাই নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়ার কথা জানালেন এ কৃষি কর্মকর্তা।
নাটোরের সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার খন্দকার ফরিদ বলেন, ‘ধানের পাশাপাশি আলুর বাম্পার ফলন হচ্ছে। আমরা আশা করছি এতে করে ধানের ফলনে কোনো প্রভাব পড়বে না। চলন বিলে যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয় সে পরিমাণ উৎপাদিত হবে।’
এবছর শুধু চলন বিল থেকেই উৎপাদন হবে ৬ হাজার ৯৩০ টন আলু। যার বর্তমান বাজার মূল্য অন্তত ২৮ কোটি টাকা।