গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

আগাম শীতকালীন সবজির চারা রোপণে কৃষকদের খরচ দ্বিগুণ

সাতক্ষীরায় আগাম জাতের শীতকালীন সবজির চারা রোপণ করা হলেও বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় তা পচে যায়। এজন্য এবার সবজির চারা রোপণে দ্বিগুণ খরচ করতে হচ্ছে কৃষকদের। এছাড়া শীতকালীন এসব সবজির বাজারে উঠতেও দেরি হবে। ফলে লোকসানের পাশাপাশি শীতকালীন সবজি চাষের মৌসুম থেকে পিছিয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

সাতক্ষীরায় সব থেকে বেশি সবজি উৎপাদন হয় সদর, দেবহাটা, তালা ও কলারোয়া উপজেলায়। উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হয় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। তবে চলতি বছর টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে এসব এলাকার ফসলের খেত। এতে দেরিতে শুরু করতে হয় সবজির উৎপাদন।

তালা উপজেলার নগরঘাটা গ্রামের কৃষক জহুর আলী। সবজির চারা তৈরিতে দ্বিতীয় দফায় মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সবজির চারা উৎপাদন করে চাষিদের কাছে বিক্রি করেন তিনি। বৃষ্টির কারণে প্রথম দফায় বীজতলা নষ্ট হয়েছে তার।

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে বিশেষ ব্যবস্থায় বীজতলা প্রস্তুত করে বাঁধাকপি ও ফুলকপির বীজ বপন করেন এ গ্রামের কয়েকশ কৃষক। তবে বৃষ্টিতে প্রথম দফায় বীজতলা ও রোপণ করা চারা নষ্ট হয়। তাই নতুন করে আবার সবজি চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করতে বাধ্য হয়েছেন এখানকার চাষিরা। এতে মৌসুমের শুরুতে বাজার ধরতে না পারায় উৎপাদিত সবজির বাজার দর কম পাওয়ার শঙ্কায় তারা।

কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছর টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার ৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকারও বেশি।

সাতক্ষীরার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পানি সরার পূর্বে যথা সময়ে উঁচু জায়গাতে চারা করে তাদের নিজস্ব জমিতে যাতে পানি সরার সঙ্গে সঙ্গে রোপণ করতে পারে সে ব্যবস্থার জন্য আমরা পরামর্শ দিচ্ছি। ইতোমধ্যে আমাদের ২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি রোপণ করা হয়েছে।’

জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৩২ জন।

এএম