কাক ডাকা ভোর থেকে বিভিন্ন এলাকার প্রান্তিক চাষিরা এনায়েতপুরে সবজির চারা কিনতে ভিড় করেন। অন্যান্য এলাকার চেয়ে এখানকার চারার দামে কম ও মানে ভালো। তাই কয়েক দশক ধরেই এখানে চারা কিনতে আসেন প্রান্তিক চাষিরা। আকার ও মান ভেদে প্রতি পিস চারা দুই থেকে চার টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।
প্রতিবছর ভাদ্র মাসের শুরু থেকে কার্তিক মাসের শেষপর্যন্ত ২ থেকে ৩ দফা চারা উৎপাদন করা যায়। ১ শতাংশ জমিতে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ করে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার চারা বিক্রি করতে পারেন চাষিরা। তবে গত বছরের চেয়ে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। এই খরচ কমাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার দাবি চাষীদের।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন বলেন, ‘রোগবালাই, পোকামাকড় এবং সার ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা পরামর্শ দিয়ে আসছি। এছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন যে-সব প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম রয়েছে উপজেলায় পর্যায়ে সেখানেও আমরা শাক-সবজি ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি।’
প্রায় ৩০ বছর ধরেই এনায়েতপুর বাসী বাড়ির উঠান ও আঙিনায় বীজতলা তৈরি করে চারা বিক্রি করে থাকেন। এবার সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে বাঁধাকপির চারার। চলতি মৌসুমে নানা জাতের কপির চারা করা হয়েছে। যা থেকে এই মৌসুমে অর্ধকোটি টাকার চারা বিক্রির আশা রয়েছে।