গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

নওগাঁয় গম কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত চাষিরা

নওগাঁয় গম কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। খরচ ও পরিশ্রম কম এবং ফলন ভাল হওয়ায় খুশি তারা। আগামীতে প্রণোদনার পরিমাণ বাড়ানো গেলে কৃষকদের মাঝে গম চাষে আরও আগ্রহ বাড়বে সে লক্ষ্যে ব্যবস্থার আশ্বাস কৃষি বিভাগের।

নওগাঁয় ধানের পাশাপাশি গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। বৈশ্বিক মন্দা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সংকট থাকায় চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে গমের দাম।

চৈত্র মাসের শুরু থেকে এবং ইরি-বোরো ধান ঘরে ওঠার আগ মুহূর্তে কৃষকের কিছুটা আর্থিক সংকট দেখা দেয়। এ থেকে কিছুটা মুক্তির জন্য অনেকে গমের আবাদ করে থাকেন। পরিশ্রম ও খরচ কম এবং ফলন ভাল হওয়ায় গম চাষে তাদের আগ্রহ বেড়েছে। মৌসুম শেষে এখন গম কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা।

কৃষকদের একজন বলেন, 'গম চাষ করা হয় নিজের আর্থিক অবস্থা ভালো করার জন্য, নিজের খাবার ও গরু-ছাগলের খাবারের জন্য।'

আরেকজন বলেন, 'ফলন ভালো এবং অসময়ে টাকা পাওয়া যায় বলে গম চাষ করা হয়।'

আলু উঠানোর পর একই জমিতে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ করে রোপণ করা হয় গম। তবে অন্য জমিতে প্রতি বিঘাতে খরচ পড়ে অন্তত ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা। যেখানে গমের উৎপাদন হয় ১২-১৪ মণ।

প্রায় এক মাস গম কাটা-মাড়াইয়ের কাজ চলে। যেখানে পারিশ্রমিক হিসেবে জনপ্রতি অন্তত দেড় মণ গম পাবেন বলে জানান শ্রমিকরা। আর এ কাজ করে বাড়তি আয় করছেন তারা।

শ্রমিকদের একজন বলেন, 'প্রতি মণে আমরা সাড়ে তিন কেজি গম নিবো। এতে আমরা প্রতি সিজনে দেড় মণ করে গম পাবো।'

আবাদ বাড়াতে এবং কৃষকদের উদ্বৃদ্ধ করতে কৃষি অফিস থেকে এ বছর ৮ হাজার জনকে প্রণোদনা হিসেবে ২০ কেজি করে বীজ এবং সার দেয়া হয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'প্রতি হেক্টরে ৩.৭ মেট্রিক টন হারে ফলন হয়েছে।'

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে এ বছর জেলায় ১৭ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। যা থেকে ৬৪ হাজার ৪৮৫ টন উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৫৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

ইএ