গেলো মৌসুমে জেলার ১২ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করে ছিলেন কৃষকরা। দামও পেয়েছেন ভাল। তাই এবার ১৮ হাজার ৫৬১ হেক্টর জমিতে এ তেলবীজের চাষ হয়েছে। যেখানে ২৪ হাজার ৩১৫ টন সরিষা পাওয়ার আশা কৃষি বিভাগের।
আমন ধান কাটার পর জমি তৈরি করে আবাদ করা হয় সরিষা। বাড়তি সেচ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারের করতে হয় না বলে কৃষকের খরচও কম হয়। এছাড়া দুই মাসের মধ্যে ফলন ঘরে তোলা যায়। প্রতি বিঘায় সরিষা চাষ করতে কৃষকের ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা খরচ হলেও আয় হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
কৃষকরা বলেন, লাভ বেশি হওয়ায় সবাই এখন সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। সার, কীটনাশক কিছুই লাগে না। আমন ধান কাটার পর সরিষা লাগানো হয়েছে। আশা করি এবারও ফলন ভাল হবে।
দেশে তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের সব ধরনের সহায়তার পাশাপাশি নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলার কৃষি কর্মকর্তারা।
শেরপুর জেলার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, 'গত বছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর বেশি আবাদ হয়েছে। উঠান বৈঠক ও বিভিন্ন কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ সরিষা আবাদ বেড়েছে।'
চলতি বছল জেলায় প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৩০ হাজার কৃষককে সরিষা বীজ ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, এবছর যে সরিষা উৎপাদন হয়েছে তা জেলার ৬৬ শতাংশ তেলের চাহিদা পূরণ করবে।