নবান্নের আনন্দে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের ধুম চলছে কুমিল্লাজুড়ে। মাঠের সোনালী পাকা ধান কাটছেন সবাই। উৎসবমুখর পরিবেশে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক। নভেম্বরের শেষ দিকে ধানের আগাম জাত কাটা শুরু হলেও এখন চলছে পুরোদমে। চলতি মৌসুমে কুমিল্লায় ব্রি-৪৯, ব্রি- ৮৭ জাতের ধানের আবাদ হয়েছে বেশি। উচ্চ ফলনশীন এসব জাতের ফলনেও খুশি কৃষক।
জেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৫৮ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার টন ধান।
ধানের উচ্চ ফলনশীল জাতে ফলন মোটামুটি ভালো হলেও পোকার আক্রমণ ছিলো বেশি। অন্যদিকে অতিরিক্ত ব্যয় বেড়েছে সার, কীটনাশক, ধান কাটার শ্রমিকসহ অন্যান্য খাতে। তাই খরচের তুলনায় ধানের দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক।
আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব না পড়ায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবার প্রত্যাশা করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, 'উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশি। শতভাগ ধান কাটা শেষে আমরা বুঝতে পারবো কোন জাতের কেমন ফলন পেলাম।'
এদিকে, আমন ঘরে তোলার সঙ্গে ধান, চাল সংগ্রহে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা খাদ্য বিভাগ। ২০২৩-২৪ আমন মৌসুমে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত প্রকৃত কৃষক থেকে মণপ্রতি ১২ শ' টাকায় ৩ হাজার ৮৮৬ টন ধান এবং আতপ ৪৪ ও সিদ্ধ ৪৩ টাকা কেজি দরে ২১ হাজার ৭৩০ টন চাল সংগ্রহ করবেন। খাদ্য অধিদপ্তর বলছে, ধান, চাল সংগ্রহে মধ্যস্বত্বভোগীরা যাতে সুযোগ না নিতে পারে সেদিকে নজর বাড়ানো হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী এখন টেলিভিশনকে বলেন, 'শুকানোর পরই আমরা ধান নিতে পারবো। ডিজিটাল যুগ হওয়ায় অ্যাপের মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান নিচ্ছি। কোন মধ্যস্থকারীর স্থান নেই।'
গেল বোরো মৌসুমে শতভাগ ধান, চাল সংগ্রহে সফল হয়েছে জেলা খাদ্য বিভাগ। ১৭শ' ৫ জন কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হয়েছে ৫ হাজার ১১৭ টন। চাল সংগ্রহ হয় ৪২ হাজার ৩০৫ টন।





