দু'দিনের বৃষ্টিতে দেশের অন্যান্য জায়গায় ফসলের ক্ষতি হলেও নাটোরে ভিন্নচিত্র। বৃষ্টি যেন রবিশস্যের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে উত্তরের এ জেলায়।
৮ বিঘা জমিতে সরিষা, রসুনসহ রবি শস্যের আবাদ করেছেন কৃষক সোহরাব হোসেন। হঠাৎ বৃষ্টিতে সেচের চাহিদা পূরণ হওয়ায় তার খরচ কমেছে প্রায় ৫ হাজার টাকা। বলেন, 'এই বৃষ্টি ইউরিয়া সারের কাজ করবে। এতে ঘাস, কফি ও সরিষা কালো হয়ে যাবে। তাই ইউরিয়া সার জমিতে কম লাগবে।'
লঘুচাপের কারণে নাটোরে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানিতে সতেজ হয়ে উঠেছে গম, ভুট্টা, রসুন, সরিষা, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন রবি ফসল। কৃষকদের জ্বালানি খরচ কমেছে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা।
কৃষকরা বলছেন, এক বিঘা জমিতে মেশিনে সেচ দিতে গেলে ১ হাজার টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু বৃষ্টি হওয়াতে তা আর লাগছে না। আমাদের খুব উপকার হয়েছে।
দু'দিনের বৃষ্টিতে সেচের চাহিদা পূরণ হওয়ায় উপকার হয়েছে ফসলের জন্য। যা ভালো ফলনের জন্য সহায়ক বলছেন, কৃষি কর্মকর্তারা।
নাটোর সদরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাবুল আকতার বলেন, 'একইসঙ্গে জ্বালানি এবং উৎপাদন খরচ কমেছে কৃষকের। সেই সাথে সময় মতো বৃষ্টি হওয়াতে ফলনও বাড়বে।'
এই বছর নাটোর অঞ্চলে প্রায় ৬৩ হেক্টর জমিতে রবিশস্যের চাষ হয়েছে। এতে ৩লাখ ৯৩ হাজার টন ফসল পাওয়া যাবে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।