শরীয়তপুর জাজিরার বাসিন্দা লিয়াকত কাজী। ৪ বিঘা জমিতে আগাম লাউয়ের আবাদ করেছিলেন। ফলনও হয়েছিল ভাল। বিক্রির উপযোগী সেই লাউ গাছ পানিতে পচেছে। নষ্ট হয়েছে গাছের সব লাউ। ৮ বিঘা জমির প্রায় ৪ লাখ টাকার ফসলই নষ্ট হয়েছে লিয়াকত কাজীর।
তার মতো গত দুই মাসের বৃষ্টির পানিতে ক্ষতি হয়েছে শরীয়তপুরের ২ হাজার ৬২৫ কৃষকের। ক্ষতি হয়েছে ১৩১ হেক্টর জমির লালশাক, পালং শাক, মূলা, লাউ, শিম, ধনেপাতা, বেগুন, টমেটো, করলা, শশাসহ বিভিন্ন আগাম শীতকালীন শাকসবজি। ঋণের বোঝা নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় কৃষক।
সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবর জুড়ে আগাম শাক-সবজিতে ভরপুর থাকে বাজার। তবে ফসল নষ্ট হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে শরীয়তপুরের বিভিন্ন হাট বাজারে। প্রতিটি শাক-সবজি বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে । এতে ক্রেতারা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
কৃষি বিভাগ বলছে, আগাম শীতকালীন শাক-সবজির পাশাপাশি রবি শস্য নিয়েও শঙ্কায় পড়েছেন তারা। বিভিন্ন খাল-বিল ভরাট হবার কারণে এমন পরিস্থিতি। শরীয়তপুরে চলতি বছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন শাক-সবজি আবাদ হয়েছে।