গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

২৫ হাজার বিনিয়োগে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখছেন আমিনুল

Shahinur Sarkar

পতিত জমিতে দুই ধরনের তরমুজ চাষে সফলতা

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নে বারোমাসি তরমুজের চাষ শুরু করেছেন কৃষক আমিনুল ইসলাম। মাত্র ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে লাখ টাকা আয়ের পথে হাঁটছেন এই কৃষক। প্রথমবারের মতো ১২ শতাংশ পতিত জমিতে হলুদ ও লাল রংয়ের তরমুজ চাষ করেছেন তিনি।

বিগবস ও ল্যানফাই জাতের বারোমাসি এই তরমুজের চারা রোপণের ১৫-১৬ দিনের মধ্যে গাছে ফল আসা শুরু হয়। যা ৫০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়।

কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, ‘এ তরমুজ চাষে যেমন ফলন তেমন লাভ, বাজারে এর চাহিদাও বেশি। এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। আরও এক লাখ টাকা বিক্রির আশা করছি।’

স্থানীয় কৃষক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আমিনুলের এই সফলতা দেখে বেশি লাভ পাওয়ার আশায় অনেকেই তরমুজ চাষে মনোযোগী হচ্ছেন।

আমিনুলকে নিয়মিত পরামর্শসহ নানা সহযোগিতা দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা। ঝিনাইগাতি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, ‘কৃষি কার্যালয় থেকে আমরা আমিনুলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। যদি অন্য কেউ এই তরমুজ চাষে আগ্রহী হয় তাদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা করবো।’

অন্য জাতের তুলনায় বিগবস ও ল্যানফাই জাতের তরমুজ খেতে সুস্বাদু ও আকারে বড় হয়ে থাকে। যা বাজারে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

এসএসএস