২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের শেষদিকে পায়রা বন্দরের আবাসিক এলাকার ৪৮ একর অনাবাদী জমিতে রোপন করা হয় বিভিন্ন প্রকার সবজি ও ফল গাছ। যার মধ্যে রয়েছে বিদেশি ফল সাম্মাম, দেশি তরমুজ, শসা, বাঙ্গি, কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি।
উন্নত জাতের কমলার পাশাপাশি লাগানো হয় ২ হাজার ১৭৬টি ড্রাগন চারা। বন্দরের প্রশাসনিক ভবন ও এর আশপাশের ১৬ একর জমিতে প্রায় ১০ হাজার আম, জামসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চাষ করা হয়েছে।
বন্দরের ভেতরে, বাইরে ও আবাসিক এলাকা মিলিয়ে অন্তত ৩০টি পুকুরে মাছের চাষ হচ্ছে। পাশাপাশি ৬৮ একর জমিতে আমন ধান ও ৫০ একর জমিতে চাষ করা হয় তরমুজ। এরইমধ্যে যা বাজারজাত করে লাভের মুখ দেখছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক তায়েবুর রহমান বলেন, 'প্রাকৃতিক উপায়ে জৈব সারের মাধ্যমে এটা চাষ করা হয়েছে। অনাবাদী জমিগুলো আবাদী পরিণত করায় দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আবাসিক এলাকায় যে জমিগুলো অনাবাদি রয়েছে তারা এটা দেখে আগ্রহী হবে।'
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, অধিগ্রহণ করা অনাবাদি জমি ও আবাসিক এলাকার পতিত জমি কৃষি কাজে ব্যবহার করে কর্মকর্তাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ ও বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক বলেন, 'এ অঞ্চলে কৃষিকাজ খুব কম হতো। আমরা চেষ্টা করেছি স্থানীয় জনগনকে সাথে নিয়ে কৃষি ব্যবস্থার যেন আমুুল পরিবর্তন ঘটাতে পারি।'
২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ এর ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পায়রা বন্দরের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা আয় করেছে সরকার। কিন্তু অনাবাদি জমিতে নিরাপদ পদ্ধতিতে ধান, সবজি, ফল ও মাছ চাষ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মত অর্থনীতিবিদদের।