উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর প্রায় ৩ হাজার ২২২ বর্গ কিলোমিটার এলাকার বেশিরভাগই সাগর ও নদ-নদী বেষ্টিত। এখানকার সিংহভাগ মানুষ কৃষক ও মৎস্যজীবী হওয়ায় নদ-নদীর তীরেই তাদের বসবাস।
তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অতিবৃষ্টি, খরায় কমেছে স্থানীয় কৃষির উৎপাদন। এছাড়া সমুদ্র, নদ-নদীতে অস্বাভাবিক পানি বাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এতে, চরম হুমকির মুখে পড়েছে হাজারো পরিবারের জীবন-জীবিকা। বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে দিশেহারা উপকূলের বাসিন্দারা। এমন অবস্থায় মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় গবেষণাভিত্তিক প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
পটুয়াখালী কলাপাড়া পরিবেশ কর্মী মেজবাহ উদ্দিন মাননু বলেন, ‘তিনশো কিলোমিটার বাঁধের বাহিরে যে বসতি আছে তাদের জীবন এবং আবাসস্থল সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ এখনো নেয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন:
কলাপাড়া পটুয়াখালী ওয়েব ফাউন্ডেশন জলবায়ু সুশাসন ও শক্তিকরণ প্রকল্প কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, ‘পানি প্রবাহের পারিমাণ দিন দিন বেড়েই চলছে। বাঁধ ভাঙার ফলে লবণাক্ত পানি আমাদের জমিতে প্রবেশ করে ফসলের ক্ষতি করছে।’
এদিকে, চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টিতে পটুয়াখালীর প্রায় ২৪২ হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। লাউ, করলা, লালশাকসহ বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি নষ্ট হয়েছে প্রায় ৯০ হেক্টর জমির। এছাড়াও, ১০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছেন উপকূলবাসী।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এইচ এম শামীম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বের হয়ে আসার জন্য এর সঙ্গে খাপ খেয়ে ফসল ফলানোর জন্য কাজ করতে হবে।’
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, ‘বাঁধ মেরামতের কাজ চলমান আছে। খুব দ্রুতই আমাদের কাজ শেষ হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে চলতি বছর পটুয়াখালীতে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার কৃষিপণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ একশো কোটি টাকার ওপরে।





