পাঁচ বছর ধরে সরিষা চাষ করে ভাগ্য বদলেছেন কৃষক ইয়াকুব আলী। হয়েছেন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান। চলতি মৌসুমেও সাড়ে ৭ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে ভালো ফলন পেয়ে খুশি তিনি।
ইয়াকুব আলী বলেন, 'কষ্ট কম লাভ বেশি। ধান থেকে সরিষায় লাভ বেশি। ভালো সরিষা রোপণ করলে ৪ থেকে সাড়ে পাঁচ মণ সরিষা পাওয়া যায়। প্রতি মণ সরিষা ৪ হাজার টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।'
কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় সুনামগঞ্জে প্রতি বছরই সরিষার চাষ বাড়ছে। এ বছর সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ২০ হাজার কৃষক ৪ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন, যা গেল মৌসুমের চেয়ে দেড় হাজার হেক্টর বেশি। আর ফলন ভালো হওয়ায় ও লাভের দেখা পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
জেলার কৃষি বিভাগ জানায়, ফলন বাড়াতে ও উৎপাদন লক্ষ্য পূরণে বিনামূল্যে বীজ সরবরাহসহ বিভিন্নভাবে কৃষকদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে সরিষা চাষের পরিধি আরও বাড়ার আশা কৃষি বিভাগের।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, 'আমাদের তিন বছরের পরিকল্পনা আমরা ৪০ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি করবো। এই পরিকল্পনার আওতায় আমরা সুনামগঞ্জে ৪ হাজার ১০৫ হেক্টর সরিষা আবাদ করতে সক্ষম হয়েছি। কৃষকদের আগ্রহ রয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে স্বল্প মেয়াদী আমন ধান আবাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি কৃষকরা বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাভ করবে।'
চলতি মৌসুমে জেলায় ৫ হাজার ৪শ' টন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্য কৃষি বিভাগের, যার বাজারদর প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। এছাড়া চলতি মৌসুমে উপজাত পণ্য হিসেবে সরিষা থেকে প্রায় ৯১০ লিটার মধু সংগ্রহ করা হয়েছে, যা থেকে আয় হয়েছে আরও সাড়ে ৪ লাখ টাকা।