আহতরা হলেন দৈনিক খবরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম, আমার বার্তা প্রতিনিধি আব্দুল মালেক নিরব, আমার সংবাদের প্রতিনিধি মো. আলাউদ্দিন ও আলোকিত সকালের প্রতিনিধি ফয়সাল মাহমুদ। রফিকের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে।
রফিকসহ আহত সাংবাদিকদের ভাষ্যমতে, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দত্তপাড়া গ্রামে প্রবাসীর বাড়িতে দখল ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সংবাদ করতে যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলের কাছে পৌঁছলে আট থেকে দশ জন মুখোশধারী ব্যক্তি সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। এসময় তাদেরকে সংবাদ সংগ্রহ না করে চলে যেতে বলে। সাংবাদিকরা যাওয়ার চেষ্টা করলে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে বাঁশ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এসময় গুলি করলে লক্ষ্যচ্যুত হয়।
সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বলেন, 'হামলাকারীরা মুখোশধারী ছিল। হত্যার উদ্দেশে তারা হামলা ও গুলি করেছে। তারা জিম্মি করে আমাদের মোবাইল ফোন সেট ও টাকাসহ মানিব্যাগগুলো নিয়ে গেছে।'
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, 'আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। একজনের হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তা গুলির কিনা এক্সরে করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।'
দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। কারা, কী কারণে হামলা করেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।'
এদিকে হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল। তিনি বলেন, 'পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ন্যক্কারজনক।'