বরিশাল নগরীতে এক সময় প্রবাহমান ছিল সাগরদী, চাঁদমারী, নাপিত খালী, লাকুটিয়া, নবগ্রাম, আমানতগঞ্জ, টিয়াখালী, কাশিপুরসহ ২২টি ছোট-বড় খাল। তবে কালের বিবর্তনে বর্তমানে অস্তিত্ব মেলে মাত্র ৬টি খালের।
যেগুলোর বেশির ভাগই মৃত প্রায়। ব্যবহার হচ্ছে বাসা-বাড়ির সুয়ারেজ লাইনের পানি কিংবা ময়লা-আবর্জনা অপসারণে। প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে খালগুলো যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
দীর্ঘদিন খনন না হওয়া আর দখলদারদের দৌরাত্ম্যে নাব্য সংকটের পাশাপাশি প্রশস্ততা কমে নালার আকার পেয়েছে খাল গুলো। বর্ষা মৌসুমে ভারি বৃষ্টিতে নগরজুড়ে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরবাসীকে।
২০১৬ সালে জেলা প্রশাসন ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নগরীর পোর্ট রোড থেকে নথুল্লাবাদ পর্যন্ত বয়ে চলা জেল খালটি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার ও পরিচ্ছন্নতা করার কাজ শুরু হয়েছিলো।
সবশেষ ২০১৯ সালের শেষ দিকে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নামে বরিশাল সিটি করপোরেশন। এসব খালে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়। তবে কিছুদিন পরেই ফের ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয় খালটি। এবার আবারও খালটির গতিপ্রবাহ ফেরাতে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।