শহরের স্বর্ণখোলা এলাকায় পৌরসভার ময়লার ভাগাড়ে বিকেল থেকে শুরু হয় বর্জ্য পোড়ানোর কাজ। বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভারি হয়ে ওঠে চারপাশ পরিবেশ। নিশ্বাস নিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকার জনসাধারণের।
মরিয়ম আক্তার, শহরের স্বর্ণখোলা এলাকার একজন গৃহবধূ। বিষাক্ত এই ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে ভুগছে তার দেড় বছর বয়সী শিশুসহ পরিবারের সদ্যসরা।
স্বর্ণখোলা, ব্যাংক কলোনি, বাসস্ট্যান্ড, নাজিরপাড়াসহ আশেপাশের এলাকার মানুষ ভুগছে একই সমস্যায়। প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়া এই দূষিত ধোঁয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন।
বিষাক্ত এই ধোঁয়ায় দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বলছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি এড়াতে দ্রুত আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
চাঁদপুর বক্ষব্যাধি ক্লিনিক মেডিকেল অফিসার ডা. সিগমা রশিদ বলেন, ‘বয়স্ক ও বাচ্চারা এই ধরনের এক্সপোজারের ঝুঁকিতে বেশি থাকে। তাদের ফুসফুস ও ইমিউনিটি দুর্বল থাকার কারণে পরবর্তীতে নিউমোনাইটিস ও নিউমোকনিওসিস মতো রোগ হতে পারে।’
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন বলেন, ‘ডাম্পিং স্টেশনটাকে আমরা শহর থেকে একটু দূরে যেখানে জনমানব বসতি কম, সেখানে স্থানান্তর করার জন্য চেষ্টা করছি। এখন যে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে সেটা শহরের মধ্যে না হয়ে যদি একটু গ্রামের দিকে নিয়ে যেতে পারি তাহলে আমাদের কাছে অভিযোগ কম আসবে। আমরা শিগগিরই এই ডাম্পিং স্টেশনটা স্থানান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করব।’
দ্রুত জনবহুল এলাকা থেকে ময়লার ভাগাড় সরিয়ে আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন তৈরির দাবি স্থানীয়দের।