নবীনগরের মেঘনা নদীর তীরে জাফরাবাদ বালু মহাল। যেখানে নরসিংদীর প্রভাবশালী একটি চক্র ৫ থেকে ৭টি ড্রেজার দিয়ে দিনভর তুলছে বালু। ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে তীরবর্তী গ্রামগুলো। মেঘনার ধরাভাঙ্গা ও বাঞ্ছারামপুরের মরিচাকান্দি থেকে প্রতিদিন তোলা হচ্ছে প্রায় ৩০ লাখ ফুট বালু। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্বও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চক্র দুটি দিনে নদীর মাঝে থাকলেও রাত হলেই বালু তুলতে চলে আসে তীরের কাছাকাছি। ফলে সাহেবনগর ও নাসিরাবাদসহ নদীর তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম রয়েছে ঝুঁকিতে। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন অনেক ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি।
নদীর তলদেশ থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু তোলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় মাছের প্রজনন ব্যবস্থা। পাশাপাশি নদীর জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে। তাই দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধসহ চক্র দুটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সংগঠনের।
তরী বাংলাদেশ আহ্বায়ক মো. শামীম আহমেদ বলেন, ‘যেভাবে বালু উত্তোলন করা হয়েছে নদীর তলদেশ থেকে এখানে মাছ ছাড়াও অন্যান্য জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদগুলোর প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে।’
এদিকে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের অস্ত্রের মহড়ার কথা স্বীকার করেন জেলা প্রশাসক। জানান, শিগগিরই সেনাবাহিনীর সাহায্যে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে চালানো হবে অভিযান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, ‘খুব অল্প কিছু পুলিশ আছে ওখানে কিন্তু তাদের সেখানে বড় সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। অতি শিগগিরই আমরা একটা বড় অভিযান যাবো।’
মেঘনা নদীর জাফরাবাদ বালু মহাল থেকে অন্তত ৭৫ কোটি টাকায় ইজারা নেয় মুন্সি এন্টারপ্রাইজ। আগামী মার্চে শেষ হবে ইজারার মেয়াদ।