তিনি বলেন, 'ছোট-খাটো অনেক বিচার করা সম্ভব না হলে ও শেখ হাসিনার বিচার করে যদি নির্বাচন দেওয়া হয় তাহলে সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। বাংলাদেশের মানুষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাশে থাকবে। জাতি আজ অঙ্গীকারবদ্ধ শেখ হাসিনার বিচারের জন্য। তার বিচার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা যে ধ্বংস হয়েছে সেটার আইনের শাসনে ফিরিয়ে আনা যাবে।'
আজ (শনিবার, ১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বুড়িচং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'হাসিনা আমীরে জামায়াত, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, আ. কাদের মোল্লা, কামরুজ্জামান, মীর কাসেম আলীসহ শীর্ষ নেতাদেরকে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে হত্যা করেছে।'
বিগত ১৫ বছর সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন ও নির্যাতন চালিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের উপর।ফ্যাসিবাদীর আমলে গোটা বাংলাদেশ কারাগারে রূপান্তরিত করেছিল বলেও জানান তিনি।
জেনারেল মাওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, 'আগস্ট বিপ্লবের কয়েক দিন আগে জামায়াতের ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল আওয়ামী লীগ। পরিপত্র জারি করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর সেই আওয়ামী লীগকে মানুষ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই আন্দোলনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির। আন্দোলন দমাতে আকাশ থেকে গুলি করা হয়েছিল। তারপরেও আন্দোলন বন্ধ করা যায়নি। ছাত্র জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা তার এমপি মন্ত্রীদের নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।'
সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, '৫৩ বছরের মধ্য জামায়াতে ইসলামীর ২জন মন্ত্রী ২টি মন্ত্রণালয় সততা স্বচ্ছতার মাধ্যমে পরিচালিত করেছে যা সারা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের দুর্নীতি পায়নি। ছাত্রজনতার আন্দোলনের ১ হাজার ৬৫১জন ছাত্র যুবকের রক্তের বিনিময় আজ আমরা নতুন একটি পরিবেশ পেয়েছি। এই পরিবেশকে কাজে লাগাতে হবে। এই বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্যে যাতে পরিণত করতে না হয়। ভারতের ইচ্ছায় যাতে পরিচালিত না হয় যেদিকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।'