এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হামিদুল হক মোহন, লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের পরিকল্পনাবিদ ও নিদের্শক ছিলেন গোলাম আম্বিয়া নুরী, আহ্বায়ক আবুল কালাম মোস্তফা লাবু, সদস্য সচিব অনিক রহমান বুলবুল প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দর্শকের উপস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ লাঠিখেলা ও মেয়েদের হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকরা জানান, বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে অতীতের গ্রামীণ লোক সংস্কৃতি তুলে ধরাই এ উৎসবের মূল লক্ষ্য। এ উৎসবের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলাধুলাকে বর্তমানে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা আরো জানান, ৪০টি দোকানে পিঠা ছাড়াও বিভিন্ন খাবার পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় ২০০ রকমের পিঠা পসরা দেখা যায়। এসব পিঠার মধ্যে রয়েছে মালাই, মুঠি, আন্দশা, কুলশি, কাটা, কলা, খেজুর, ক্ষীর কুলি, গোকুল, গোলাপ ফুল, পুলি, নকশি পিঠা ও তালের পিঠাসহ বিভিন্ন রকমের পিঠার সমারোহ রয়েছে।
এদিকে লোকজ সাংস্কৃতিক উৎসবে দেশীয় খেলা দাঁড়িয়বান্দা, বউচি, লাঠিখেলা, ওপেন্টি বায়োস্কোপ, হা-ডু-ডু, গোল্লাছুট, এক্কা-দোক্কা, লোকজ সংস্কৃতি জারিগান, পুথিপাঠ, পালাগান, কবিগান, লোকগীতি, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, শ্যামাসংগীত প্রভূতি রয়েছে। এছাড়া মেলায় প্রতিদিনই থাকছে –বাউলগান, কবিগান, লোকনৃত্য, সঙযাত্রা।