হালকা শীতের আমেজ আর সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে সাগরের নীল জলরাশিতে লাখো পর্যটক, সাগরতীর জুড়ে হৈ-হুল্লোড়ে মাতোয়ারা নানা বয়সী মানুষ।
কেউ উঠেছে ঘোড়ার পিঠে কেউ আবার ঘুরছেন বিচ বাইকে অনেকেই আবার দ্রুত গতির জেটস্কি নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন নীল জলরাশিতে। সেইসঙ্গে প্রিয় মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করছেন মুঠোফোনে। কক্সবাজারে লাবনী-সিগাল থেকে শুরু করে কলাতলী পয়েন্ট সর্বত্রই পর্যটককে মুখরিত। ঢল নেমেছে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়েসি মানুষের।
শীতের আগমনে পর্যটক বাড়ায় খুশি হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীরা। কক্সবাজারের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের কোথাও ৭০-৮০ শতাংশ আবার কোথাও শতভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গেল অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে কক্সবাজারের পর্যটন খাতে সুদিন যাচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিনে দেড় লাখ পর্যটকের সমাগম প্রত্যাশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। যেখানে বাণিজ্য হবে শত কোটি টাকা।
এদিকে, মোহনীয় সৌন্দর্যের টানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটছে কুয়াকাটায়। এতে আপন রূপে ফিরেছে সমুদ্রকন্যা। সূর্যোদয়- সূর্যাস্ত, সমুদ্রের ঢেউ আর লাল কাঁকড়ার বিচরণ দেখতে পর্যটকদের বিরামহীন ছুটে চলা সেখানেও।
চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার ব্যবসা-বাণিজ্য। পর্যটকদের আগমনে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে হোটেল, রেস্তোরাঁ, বার্মিজ পণ্যের দোকানসহ পরিবহণ ব্যবসা। এদিকে কুয়াকাটায় দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল রিসোর্টে বুকিং হয়েছে ৯০ শতাংশ রুম। যাতে ছুটির দুই দিনে ৫০ কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া, অস্থিরতা কাটিয়ে স্বাভাবিক হয়েছে পাহাড়ি জনপদ রাঙামাটি বান্দরবান। তাই আসতে শুরু করেছে পর্যটকরা। এরই মধ্যে বুকিং হয়েছে সাজেক, রাঙামাটি শহর ও কাপ্তাইয়ে ৬০-৭০ শতাংশ হোটেল-মোটেল।