
বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার-দমনের কালো আইন যেভাবে বৈধ হয়ে উঠলো
'৭৪ এর বাকশাল থেকে '২৪ সালের আয়নাঘর
১৯৭৪ এর বাকশাল আর ২০২৪ এর বেআইনি আয়নাঘর। বিনা অপরাধে যে কাউকে গ্রেপ্তার ও দমন কীভাবে হয়ে উঠলো আইনগতভাবে বৈধ? কেউ ডাকেন কালো আইন আবার কেউ বলেন, নিবর্তন বা নিপীড়ন আইন, তবে বার বার সরকারের বদল হলেও বিনা অপরাধে বিরোধীমত দমনের এই আইন পরিবর্তন করেনি কেউ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সংবিধানে সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ ও এই আইন বাতিলের এখন বিকল্প নেই।

প্রহসনের নির্বাচন: তিন সাবেক সিইসি, শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
প্রতারণামূলক ও প্রহসনের নির্বাচন করায় সাবেক তিন সিইসি, কমিশন সচিব, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে চট্টগ্রামে। একপেশে নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধানের শপথ ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে আদালতে মামলাটি করেন সাবেক এক বিএনপি নেতা। মামলা গ্রহণ করে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সংবিধান সংস্কার কমিশন: শাহদীন মালিককে বাদ দিয়ে আলী রিয়াজকে দায়িত্ব
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হলো ড. শাহদীন মালিককে। তার পরিবর্তে নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অধ্যাপক আলী রিয়াজকে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এক ব্যক্তির শাসনে সবই ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে: আলী রীয়াজ
বিশেষ সাক্ষাৎকার
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী শাসনামলের পতন ঘটেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের হাল ধরেছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। আপাতত চলছে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ। এই সংস্কারের আলোচনার সঙ্গে দাবি উঠেছে সংবিধান পুনর্লিখনের। এবার প্রশ্ন উঠেছে- যেখানে সংশোধনের সুযোগ আছে, সেখানে পুনর্লিখন কেন? তার প্রক্রিয়াইবা কেমন হবে! এসব বিষয় নিয়ে বিশেষ সাক্ষাৎকারে ‘এখন টিভি’র মুখোমুখি হয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলী রীয়াজ। যিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর এবং আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো। সবশেষ আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের (এআইবিএস) কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এই অধ্যাপক।

সংবিধানের পরিবর্তন না হলে আরও বড় স্বৈরাচার আসবে!
রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে সংবিধান সংস্কারের জন্য ড. শাহদীন মালিককে প্রধান করে একটি কমিশনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, গণবিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য স্বৈরাচার আমলে ব্যাপক কাটা ছেড়ার শিকার হওয়া সংবিধানের পুনর্লিখন প্রয়োজন। সংবিধানের মৌলিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনা না গেলে, ভবিষ্যতে আরও বড় স্বৈরাচার ফিরে আসার শঙ্কাও করছেন তারা। কিন্তু অনির্বাচিত একটি সরকারের নেতৃত্বে এই সংস্কার কতটা সম্ভব?

সংস্কারের জন্য ছয় বিশিষ্ট ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিলেন ড. ইউনূস
রাষ্ট্রের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা সংস্কারের জন্য ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিককে প্রধান করে ছয়টি কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ (বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি এ কথা জানান।

‘জনগণ নতুন রাজনৈতিক দল চায় কীনা সেটা আগে জানতে হবে’
জনগণ নতুন রাজনৈতিক দল চায় কি না সেটা আগে জানতে হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ (বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবিধান সংশোধন ছাড়া কোনো পথ নেই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
আওয়ামী সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে বাকস্বাধীনতা ফিরলেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পেতে বদলে ফেলতে হবে সংবিধানও। তবে নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে নাকি সংশোধন করতে হবে উঠে আসছে সে প্রশ্ন। তাই আওয়ামী সরকারের পঞ্চদশ সংশোধনীর চাইতেও বড় সক্ষমতা নিয়ে সংশোধনী বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতীয় সম্মেলন ও গণপরিষদ নির্বাচন চাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সংবিধান সংশোধন ছাড়া কোনো পথ দেখছেন না তারা।

কোটা আদালতের বিচারাধীন বিষয়, আমাদের কিছু করার নেই: প্রধানমন্ত্রী
কোটা আদালতের বিচারাধীন বিষয়, তাই আমাদের এ বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (রোববার, ১৪ জুলাই) গণভবনে চীন সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

কোটা আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কী, কেন রাস্তায় শিক্ষার্থীরা?
দেশে আবারও শুরু হয়েছে কোটা বিতর্ক। শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত বহাল রাখতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে কোটার পক্ষে থাকা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা চাইছেন আদালতের রায় মেনে পুণরায় সবক্ষেত্রে কোটা বহাল রাখার। বিশ্লেষকরা মনে করেন, পুরোপুরি বাতিল না করে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার প্রয়োজন। সংকট সমাধানে সরকারকে পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান তাদের।