
পানি নামলেও এখনো দুর্ভোগ কাটেনি বন্যার্তদের
সময়ের সাথে উন্নতি হচ্ছে বন্যা কবলিত জেলার পরিস্থিতি। পানি নামলেও এখনো দুর্ভোগ কাটেনি বন্যার্তদের। ফেনীর পাঁচ উপজেলায় বন্যার পানি নেমে গেলেও দাগনভূঞাঁয় পানির নিচে ঘর-বসতি ও রাস্তা ঘাট। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানি ও খাদ্য সংকট। একই সঙ্গে বাড়ছে পানিবাহিত রোগ। বন্যা পরবর্তীতে একই চিত্র দেখা যায় কুমিল্লায়। এদিকে নোয়াখালীতে এখনো পানিবন্দি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। সড়কের বেহাল দশায় দুর্গম এলাকাগুলোতে পৌঁছানো যাচ্ছে না ত্রাণ।

বন্যার পানি কমে গেলেও দুর্ভোগের শেষ নেই ফেনীবাসীর
ফেনীতে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার পর ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে তার ক্ষতচিহ্ন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে মানুষ ফিরতে শুরু করলেও কাটেনি দুর্ভোগ। রেখে আসা ঘর-বসতির পুরোটাই যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বানভাসি পরিবারগুলো সব হারিয়ে পথে বসার উপক্রম।

রাঙামাটির ৬ উপজেলায় পানিবন্দি ১৭ হাজারের বেশি মানুষ
উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বাড়ছে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি। রাঙামাটি পৌর এলাকাসহ ৬ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে ডুবছে সড়ক-ঘরবাড়ি। এতে ১৭টি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। লংগদু উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ২২০ জন বন্যাদুর্গত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ১৮ ইঞ্চি খুলে দেয়া হলেও দ্রুত কমছে না পানি।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ব্যাংক ঋণ মওকুফের পরামর্শ
বন্যায় কৃষিজমির বীজতলা, শেষ ধানের শীষ, গবাদিপশু বা পোল্ট্রি খামার এক নিমেষেই শূন্য হয়েছে অনেকের। কৃষকের গোলা আবার পূর্ণ করতে নিঃশর্ত এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। এছাড়া ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় ব্যাংকের ঋণ মওকুফেরও পরামর্শ দেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রেও চার থেকে পাঁচ শতাংশ বেশি সুদহার নির্ধারণ, উল্টো বিপর্যস্ত করতে পারে এসব এলাকার অর্থনীতি।

বন্যায় লক্ষ্মীপুরের মানুষের দুশ্চিন্তা ক্রমেই বাড়ছে
তিন থেকে চার দিন আগেও অনেকটা স্বস্তিতে থাকা লক্ষ্মীপুরের মানুষের দুশ্চিন্তা ক্রমেই বাড়ছে। পানিতে প্লাবিত হয়ে সঙ্গীন হয় নিম্নাঞ্চলের অবস্থা। এদিকে, দুর্যোগের কারণে ব্যাহত হচ্ছে ত্রাণ সরবরাহ, তাই দুর্দশা বাড়ছে বিপর্যস্ত মানুষের।

পানির নিচে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলা; যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
৪ দিন পরেও পানির নিচে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলা। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও সড়ক যোগাযোগ। এরইমধ্যে কিছু স্থানে পানি নামতে শুরু করলেও কমেনি দুর্ভোগ। সারা দেশে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন।

ধারণার চেয়েও ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনীর সাধারণ মানুষের জীবন
ফেনীতে এখন দু'চোখ যেদিকে যায় শুধু পানি আর পানি। সড়ক, ফসলের মাঠ, রাস্তা, অলিগলি, বসতভিটা সবই ডুবে আছে পানির নিচে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সহায় সম্বল হারিয়ে বেশিরভাগই ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।

বাধ ভেঙে প্রবল বেগে ঢুকছে পানি, বন্ধ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
৮ জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ লাখ মানুষ
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের ১২ জেলা। বিভিন্ন স্থানে বাধ ভেঙ্গে প্রবল বেগে পানি ঢুকছে। এছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীর বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হয়ে যাওয়ায় বন্ধ আছে যানবাহন চলাচল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২৯ লাখ মানুষ। দুর্গতদের সহায়তায় মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী।

বন্যায় ফেনীতে ৫০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি
গত দু'দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি ফেনীর ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষি ও মৎস্য খাত। সঠিক হিসাব না পেলেও স্থানীয়দের মতে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ক্ষতির শিকার হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। টাকার অঙ্কে যা ৫০ কোটির বেশি।

বন্যার কবলে ভারতের উত্তরাঞ্চল, ৮৪ মৃত্যু
ভারি বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ভারতের উত্তরাঞ্চল। আসামে বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৮৪ জন। ব্রহ্মপুত্র ও কুশিয়ারা নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ওপরে। উত্তর প্রদেশে বন্যার পাশাপাশি প্রাণহানি ঘটছে বজ্রপাতের কারণে। শুধু বুধবারই (১১ জুলাই) রাজ্যটিতে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। এদিকে দুই সপ্তাহের বন্যায় হিমাচল প্রদেশে আর্থিক ক্ষতি ছাড়িয়েছে ১৭২ কোটি রুপি।

দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি এখনও প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। এতে পানিবন্দি অবস্থায় দিন পার করছেন সাড়ে ৪ লাখের বেশি মানুষ। সুনামগঞ্জসহ অনেক স্থানে পানি নামতে শুরু করলেও দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট।

টাঙ্গাইলে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ
টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে টাঙ্গাইলে যমুনা নদীসহ জেলার সবগুলো নদীর পানি কয়েকদিন যাবত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। আজ (শুক্রবার , ৫ জুলাই) সকালে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য জানিয়েছে।