বৈশাখের শেষদিকের বৃষ্টি যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে পাটের রাজধানী খ্যাত জেলা ফরিদপুরে। সতেজতা ফিরেছে শুকিয়ে যাওয়া গাছগুলোতে। একইসঙ্গে লোকসানের হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে জেলার ২ লাখ পাট চাষির।
চলতি বছরের মার্চের শেষদিকে ফসল চাষ শুরু করেন জেলার কৃষকরা। তবে এরপর এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে পাটের চারার সঙ্গে পুড়েছে কৃষকের ভাগ্য। পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়েছে অনেক ফসল।
জেলার পাট চাষিরা জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় খেতে একবার সেচ দিতে খরচ সাড়ে ৫শ' টাকা। এ মৌসুমে পাট খেতে কোথাও দুইবার আবার কোথাও তিনবার বাড়তি খরচ করে সেচ দিয়ে কোনোমতো খেত টিকিয়ে রেখেছেন তারা। একমাসের বেশি সময় পর বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকের জ্বালানি সাশ্রয় হয়েছে হাজার টাকার মতো।
চাষিদের একজন বলেন, 'যদি এই বৃষ্টি না হতো তাতে কৃষকদের আরও ১ হাজার টাকার মতো খরচ হতো।'
জেলা কৃষি বিভাগ বলেছে, চলতি মৌসুমে সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় চাষিদের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে দুইদিনের বৃষ্টিতে জেলায় চাষিদের অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় সাশ্রয় হয়েছে কয়েক কোটি টাকা।
ফরিদপুর কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রইচ উদ্দিন বলেন, 'এই বৃষ্টিতে পাটের জমিতে আর সেচ দিতে হবে না। ফরিদপুরের পাট চাষিরা এতে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।'
চলতি মৌসুমে জেলায় ৮৬ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এ জেলায় সাধারণত দুই জাতের পাটের আবাদ হয়ে থাকে তোসা এবং মাস্তে।