ঐতিহ্য এখন যন্ত্রণা; রাজধানীতে ১২ লাখের বেশি রিকশা
রিকশা ঢাকার ঐতিহ্য হলেও বর্তমানে যান্ত্রিক-অযান্ত্রিক রিকশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। তথ্য বলছে, ঢাকায় বৈধ-অবৈধ মিলে রিকশার সংখ্যা ১২ লাখের বেশি। যার মধ্যে লাইসেন্সধারী দুই লাখ ১৪ হাজার প্রায়। ফলে বিপুল সংখ্যক অবৈধ রিকশা একদিকে যেমন শহরে তীব্র যানজট সৃষ্টি করছে অন্যদিকে যান্ত্রিক রিকশার বেপরোয়া গতিতে ঘটছে দুর্ঘটনা।
রাজধানীতে পাবলিক টয়লেট না থাকায় পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
ঢাকার বাসযোগ্যতা কমে আসার অন্যতম কারণ পাবলিক টয়লেট বা গণশৌচাগারের তীব্র সংকট। হাতেগোনা যেসব পাবলিক টয়লেট রয়েছে তাও পরিণত হয়েছে ব্যবসা কেন্দ্রে। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি রোগবালাই ডালপালা মেলে ঝুঁকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, টাকা দিয়ে টয়লেট পরিচালনা বিশ্বে বিরল। তাই এই মডেলে পরিবর্তন আনার দাবি তাদের।
সরকার পতনের পর বন্ধ সব প্রকল্পের কাজ, আর্থিক ক্ষতির মুখে দেশ
শেখ হাসিনার পতনের পর পালিয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়াররা। তাই প্রায় সব প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। কিছু কাজ চালু থাকলেও তাতে গতি নেই। নগরবিদরা বলছেন, মাঝপথে কাজ থেমে গেলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে দেশ। তাই শেষ করতে হবে দ্রুত।
গত ২৮ বছরে ঢাকায় সবুজ কমেছে ৭ শতাংশ
গত ২৮ বছরে ঢাকায় সবুজ কমেছে ৭ শতাংশ। আর জলাভূমি ২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে আশঙ্কাজনক এমনই তথ্য। এছাড়া গত দুই দশকে কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা বেড়েছে ৮১.৮২ শতাংশ। এদিকে ঢাকার তাপপ্রবাহ কমাতে উন্নয়ন দর্শনে পরিবর্তন আনতে সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।
নাগরিক সুবিধা থেকে এখনও বঞ্চিত ডিএনসিসির বাসিন্দারা
২০২১-২২ অর্থবছরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নকাজ শুরু হয়। এজন্য পাস হওয়া ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার অর্ধেকই বরাদ্দ জমি অধিগ্রহণে। তবে নানা কারণে সেই টাকা ছাড় দেয়া বন্ধ আছে। আর বাকি টাকার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৭৭৫ কোটি টাকা হাতে পেয়েছে ডিএনসিসি।