
‘ভারত পানিকে মারণাস্ত্র ও যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে’
পৃথিবীর একমাত্র দেশ ভারত যারা পানিকে মারণাস্ত্র ও যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ (রোববার, ৪ মে) বিকেলে রংপুরের শাপলা চত্বরে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের গণ পদযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্ব না দিলে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
তিস্তা নদী ঘিরে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্ব না দিলে লাগাতার কর্মসূচিতে যাবে রংপুরের মানুষ— এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব দুলু।

‘তিস্তা প্রকল্প ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস-নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে, তবে চূড়ান্ত কথাবার্তা হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আজ (মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমে তিনি জানান, তিস্তা প্রকল্প ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দু'টিই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। রোহিঙ্গারা যেন অধিকার ও নিরাপত্তার সাথে ফিরতে পারে সেজন্য ঢাকা আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টিতে কাজ করছে বলেও জানান এই উপদেষ্টা।

ভারত নয়, তিস্তা নিয়ে চীনের সঙ্গেই হাঁটবে বাংলাদেশ
ভারত নয়, তিস্তা নিয়ে চীনের সাথেই হাঁটবে বাংলাদেশ। প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর থেকে সে ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, একমাত্র চীনই তিস্তাসহ বাংলাদেশের নদী ও পানি ব্যবস্থাপনাকে সঠিক জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে। এই ইস্যুতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সফর তিস্তা সংকট সমাধানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে খুলে যেতে পারে ২৫ বছরের তিস্তা জট
তিস্তা নিয়ে ভারতীয় আগ্রাসন রোধের একমাত্র উপায় চীনের প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন। এটি বাস্তবায়ন হলে তিস্তাপাড়ের মানুষের দুর্দশার দিন শেষ হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তাই প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরকে ঘিরে প্রত্যাশা- খুলে যেতে পারে ২৫ বছরের তিস্তা জট। যা হবে একটি ঐতিহাসিক কূটনৈতিক বিজয়।

ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার-বাঁধ নির্মাণে মরণদশায় তিস্তা
প্রবাহ শুকিয়ে খরস্রোতা নদী তিস্তা এখন শুধুই বালুচর। অভিন্ন এ নদীর ভারতের অংশে বাঁধ নির্মাণ ও একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে উত্তরের জীবনরেখা তিস্তার এখন মরণদশা। এছাড়া এর প্রভাবে উত্তরের বড় নদ-নদীগুলো পানিশূন্য হওয়ায় নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। চর জেগে নদী রূপ নিচ্ছে ফসলি মাঠে। এমন অবস্থায় দখল, দূষণরোধ আর ভারতের সঙ্গে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় না করা গেলে নেমে আসতে পারে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়।

'তিস্তা প্রকল্পে চীনের সাথে সমঝোতা স্বাক্ষরের সময় শেষ হলেও তা নবায়ন করা হবে'
তিস্তা প্রকল্পে বিনিয়োগে চীনের সাথে সমঝোতা স্বাক্ষর থাকলেও তা টপকে ভারতের সাথেই চুক্তি করে শেখ হাসিনা। চীনের সাথে করা সেই সমঝোতা স্বাক্ষরের সময়সীমা শেষ হলেও এবার তা নবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে তিস্তাপাড়ের মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দেয়ার কথা জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

টানা বর্ষণে উত্তরের জনপদে বাড়ছে নদ-নদীর পানি
দুই দিনের টানা বর্ষণে উত্তরের জনপদে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রর পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে পানির প্রবাহ। ৪৮ ঘন্টা পর ভারি বর্ষণ থামলেও তিস্তায় পানির চাপ সামাল দিতে খোলা রাখা হয়েছে ডালিয়া পয়েন্টের ৪৪ টি জলকপাট। তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের গ্রামগুলো পানিবন্দি হলেও আবহাওয়া অফিস বলছে, উজানের ঢল না নামলে আপাতত বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।

বন্যায় বিপর্যস্ত দার্জিলিং,আসাম, ত্রিপুরা-তেলেঙ্গানা
রাতভর বৃষ্টির আকস্মিক ঢলে বিপর্যস্ত হয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং। ৪৫ মিনিটের টানা বৃষ্টিতে অচল হয়ে গেছে আসাম। ত্রিপুরায় গোমতী নদীতে পানির উচ্চতা কমতে শুরু করলেও দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। তেলেঙ্গানাতেও বন্যার পানি কমছে, কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, নেই বিশুদ্ধ পানি। দুই দশকের ভয়াবহতম বন্যা চলছে অন্ধ্র প্রদেশেও।

ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় বিপাকে স্থানীয় ভারতীয়রা
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তিস্তার তাণ্ডবে প্রতিনিয়ত আশ্রয়হীন হয়ে পড়ছেন নদী তীরবর্তী মানুষ। ফলে, চরমে পৌঁছেছে ভোগান্তি।

স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশকে পানি বঞ্চিত করে আসছে ভারত!
অভিন্ন নদীতে ব্যারেজ কিংবা ড্যাম তৈরি ভারতের ভূরাজনৈতিক অস্ত্র। ভারত তিস্তা ও ফারাক্কাসহ বেশিরভাগ অভিন্ন নদীর পানি নিজের দেশের স্বার্থে ব্যবহার করে আসছে। যা আন্তর্জাতিক নদী আইনের লঙ্ঘন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশকে রাজনৈতিকভাবে চাপে রাখতেই এমন নীতি গ্রহণ করেছে প্রতিবেশি ভারত।

বন্যার পানিতে ভাসছে কুড়িগ্রামের বিস্তীর্ণ জনপদ
উজানের ঢলে ভরে ওঠা নদ-নদীর পানি ভাটির দিকে নেমে যায় ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে। সেই নদে পানি কমছে ধীরে ধীরে। মাঝখানে কুড়িগ্রামের বিস্তীর্ণ জনপদ বন্যার পানিতে ভাসছে। কমছে না দুর্ভোগ। বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ফসলের খেত সবই পানিতে নিমজ্জিত। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি ও মাছ চাষ।