
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় দলের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে যাবেন বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'
পূর্ণশক্তি নিয়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল। রোববার (২৬ মে) রাত ৯টায় পটুয়াখালী, বরিশাল ও সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকায় রিমালের প্রভাব শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে তাণ্ডবে পরিণত হয় ঘূণিঝড়টি। যার প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল ঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়েছে।

সন্ধ্যা ছয়টায় খেপুপাড়ায় আঘাত হানবে 'রিমাল', অতিক্রম করবে ৩-৪ ঘণ্টায়
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় “রিমাল” উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ (রোববার, ২৬ মে) দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২২০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত ৮-১০ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র: প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, আজ সন্ধ্যার দিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রথমভাগ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে এবং মধ্যরাতে বাংলাদেশে মূল ঝড় অতিক্রম করবে। রোববার (২৬ মে) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

উপকূলীয় ১৯ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা
ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে উপকূলীয় ১৯ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহারের জন্য এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

প্রবল শক্তিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল', উপকূলে প্রভাব শুরু
প্রবল শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'। মোংলা ও পায়রা বন্দরসহ উপকূলের ৯ জেলায় দেয়া হয়েছে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। আবহাওয়া অফিস বলছে, রাতেই আঘাত হানবে এই ঘূর্ণিঝড়। দুপুরে উপকূল ছুঁবে অগ্রভাগ। আর এরইমধ্যে উপকূলে এর প্রভাব শুরু হয়েছে।

চব্বিশ পরগনায় রেড এলার্ট, কলকাতা থেকে বিমান চলাচল স্থগিত
আজ রাতে ঘূর্ণিঝড় রিমাল আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপে। সর্তক থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জারি করা হয়েছে রেড এলার্ট। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় সমুদ্র উপকূলীয় স্থানগুলোতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। কলকাতা থেকে স্থগিত করা হয়েছে বিমান চলাচল।

উপকূলে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আজ (রোববার, ২৬ মে) সন্ধ্যা বা মধ্যরাত নাগাদ মোংলার নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ড ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরে এলার্ট ৪, শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের মহাবিপদ সংকেতে চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব সতর্কতা এলার্ট ৪ জারি করা হয়েছে। এরইমধ্যে জেটিতে থাকা সব জাহাজ গভীর সাগরে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নতুন করে পণ্যবাহী কোন জাহাজও চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে প্রবেশ করবে না বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এদিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুপুর ১২টা-রাত ৮টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামাসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করেছে কতৃপক্ষ।

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: মোংলা-পায়রায় ১০, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মোংলা ও পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর সর্তক সংকেতের পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ সতর্কতা বিজ্ঞপ্তিতে আজ (রোববার, ২৬ মে) সকালে এই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপে আঘাত হানবে রিমাল
পশ্চিমবঙ্গের উপকূলসহ বিভিন্ন রাজ্যে আগামী কয়েকদিন ভারি ও অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, রিমালের প্রভাবে উত্তাল সাগর দেখে অনেকেই ভীত হলেও সৌন্দর্য উপভোগে পশ্চিমবঙ্গের দিঘায় ভিড় করছেন পর্যটকরা।

সাতক্ষীরায় দুর্যোগের ক্ষতি কাটানোর আগেই রিমাল আতঙ্ক
বিগত দুর্যোগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগেই আসছে নতুন দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এতে বেড়িবাঁধ ভাঙনের আতঙ্কে দিন পার করছে সাতক্ষীরার উপকূলের মানুষ। তাছাড়া পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টারও নেই। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতির কথা বলছে জেলা প্রশাসন।