
যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনে বড় হামলা রাশিয়ার, নিহত ৩৪
ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৩৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। একে গণহত্যা বলে দাবি করছে ইউক্রেনীয়রা। অবশ্য রাশিয়া ভুল করে এ হামলা চালিয়েছে বলে বিষয়টিকে হালকা করার চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। একইসঙ্গে, যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আগে ট্রাম্পকে একবারের জন্য হলেও ইউক্রেন সফরের আহ্বান জানান তিনি।

ইউক্রেনের বিশেষ দূত হিসেবে কেইথ কেলোগকে নিয়োগ ট্রাম্পের
দুই মাসও হাতে নেই জো বাইডেনের। অথচ ইউক্রেনের জন্য আরো সাড়ে ৭২ কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ প্রস্তুত করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়স কমিয়ে ১৮ বছরে আনতে চাপ দেয়া হচ্ছে জেলেনস্কি প্রশাসনকে। এদিকে ইউক্রেনের বিশেষ দূত হিসেবে কেইথ কেলোগকে নিয়োগ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৮০ বছর বয়সী সাবেক মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা সংঘাত নিরসনে ইউক্রেনে সহায়তা বাড়িয়ে আলোচনার টেবিলে বসানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।

‘ইউক্রেনের দখলকৃত এলাকা পুনর্দখলে কোনো সাহায্য করবে না যুক্তরাষ্ট্র’
ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে সহযোগিতা করা হলেও রাশিয়ার দখলে যাওয়া এলাকা ফিরে পেতে যুক্তরাষ্ট্র কোন সহযোগিতা করবে না। এমনটাই জানিয়েছেন ট্রাম্পের উপদেষ্টা। এদিকে, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে দ্রুতই রুশ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে নামছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। যদিও ঠিক কোন স্বার্থে মস্কোকে তরুণ, অনভিজ্ঞ এত সেনা দিয়ে দিল, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এদিকে এই সেনাবহর সামলাতে নতুন করে কিয়েভ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, এমনটাই বলছেন ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।