
রাখাইনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে জান্তা
বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির কাছে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ হারাতে চলেছে দেশটিতে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার।

সিত্তে শহর দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি
বিদ্রোহীদের ঠেকাতে পোড়ামাটি নীতিতে জান্তা, ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে নাগরিকদের।

নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে মরিয়া মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী
দখল হারানো শহরের কর্তৃত্ব ফিরে পেতে মরিয়া মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী। তবে সেই যুদ্ধে প্রাণ হারাচ্ছে সেনারা। রাখাইনের রামরি শহরে দুই দিনে অন্তত ৮০ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি।

রাখাইন ও চিনে ১৭০টিরও বেশি ঘাঁটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে
রাখাইন-চিন প্রদেশের পর কাচিন প্রদেশেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। চীনা সীমান্তবর্তী মানসি শহরে ঘাঁটিটি বর্তমানে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির দখলে।

পরাজয় জেনে রাখাইনের উত্তরাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার
রাখাইনের উত্তরাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে মিয়ানমার জান্তা। সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তথ্য বলছে, রাজ্যটির উত্তর দিক থেকে সেনা সরিয়ে দক্ষিণে বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা জোরদার করা হয়েছে।

রাখাাইনে আরাকান আর্মির হামলা জোরদার
তিন মাসে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ১৭০টির বেশি ঘাঁটি দখল করেছে বিদ্রোহীরা। ১৩ নভেম্বর থেকে বিদ্রোহীদের জোরদার আক্রমণে নাজেহাল জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে রাখাইনে ছয়টি এবং চিন প্রদেশে একটিসহ কমপক্ষে সাতটি শহরের।

'এ বছরই মিয়ানমারের জান্তা সরকার উৎখাত'
চলতি বছরই উৎখাত হতে যাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার, অবসান ঘটবে সামরিক স্বৈরশাসনের। নতুন চান্দ্রবর্ষের বার্তায় এ ঘোষণা দিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহী জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।

মিয়ানমারের সেনারা ভারত থেকে বিতাড়িত
বিদ্রোহীদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জীবন বাঁচাতে আশেপাশের দেশে পালাচ্ছে মিয়ানমার সেনারা। শুধু ভারত-বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশি আরেক দেশ চীনেও আশ্রয় নিয়েছে অনেকে। এমন অবস্থায় দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তে ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম বাতিলের ঘোষণা দিয়ে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত।

রাখাইন রাজ্যের দিকে বেশি নজর আরাকানদের
রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী আরাকানিদের সার্বভৌমত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে জন্ম হয় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির। এক দশকে মিয়ানমারে বেশ শক্তিশালী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিতি পায় আরাকান আর্মি।

চীন সীমান্তে মিয়ানমারের ২ শহর বিদ্রোহীদের দখলে
বিদ্রোহীদের অপারেশন টেন-টোয়েন্টি সেভেনে নাকাল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। চীন-মিয়ানমার সীমান্তের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে চলে যাওয়ায় বড় ধাক্কা খেয়েছে মিয়ানমারের সীমান্ত বাণিজ্য। কমপক্ষে চারটি প্রদেশে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াইরত বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলছে তুমুল সংঘাত। এর মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যেই বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাতে নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২৬ হাজারের বেশি মানুষ, জানিয়েছে জাতিসংঘ। চিন প্রদেশে সংঘাতে বাস্তুচ্যুত হাজারো মানুষ প্রতিদিনই পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে ভারতের মিজোরামে।