অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক
অবশেষে অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল। মার্শাল ল' জারির ব্যর্থ চেষ্টার অভিযোগে পার্লামেন্টে তার অভিশংসনের পক্ষে শনিবার ভোট দেন ২০৪ জন আইনপ্রণেতা। আপাতত তাকে বরখাস্ত করে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেয়া হবে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। তবে ইওলকে স্থায়ীভাবে অপসারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে সাংবিধানিক আদালত, যাতে লেগে যেতে পারে কয়েক সপ্তাহ থেকে ছয় মাস সময়।
শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের ঘোষণা দক্ষিণ কোরিয়া প্রেসিডেন্টের
তদন্ত কিংবা অভিশংসন, যে ব্যবস্থাই নেয়া হোক না কেনো, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াইয়ের ঘোষণা ইউন সুক ইওলের। গণতন্ত্র রক্ষায় সামরিক আইন জারি করা হয়েছিল বলেও দাবি তার। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই বলে মন্তব্য ক্ষমতাসীন দল পিপিপি প্রধানের। আগামীকাল (শনিবার , ১৪ ডিসেম্বর) দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন প্রস্তাবের বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে। যেখানে অংশ নিতে যাচ্ছেন ইওলের দলের আইনপ্রণেতারাও।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চায় ক্ষমতাসীন দল
দেশের সুরক্ষার জন্য প্রেসিডেন্টকে দ্রুতই বরখাস্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল পিপিপি'র প্রধান। তবে অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির দিন দ্বিতীয়বারের মতো সামরিক আইন জারির ষড়যন্ত্র করছেন ইয়ুন সুক ইওল, এমন অভিযোগ তুলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটির একটি মানবাধিকার সংস্থা। যদিও অবৈধ নির্দেশনা গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
তোপের মুখে মার্শাল ল' প্রত্যাহার, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিক্ষোভ
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত বাতিলের পক্ষে রায় দিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্টের সদস্যরা। এই রায়ে বাতিল হয় সামরিক আইনের প্রস্তাব। এর আগে মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে আচমকাই দেশজুড়ে মার্শাল ল' জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল। এর পরপরই ডাকা পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রস্তাবে সম্মত হন ১৯০ জন সংসদ সদস্য। সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত বাতিলের পর ইউন সুক ইউলের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ মানুষ।