
ভোলায় বাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি; পানিবন্দি ৫০ হাজারের বেশি মানুষ
ভোলাজুড়ে ৩৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ থাকলেও, অরক্ষিত ৪০ কিলোমিটার। এরমধ্যে বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে ১৮ কিলোমিটার এলাকা। ফলে, হুমকির মুখে শতশত বসতবাড়ি আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গেল কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিতে তজুমদ্দিন, মনপুরা ও লালমোহনের বাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। পানি বন্দি ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত আখাউড়ার কয়েক গ্রাম
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিপাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ (রোববার, ১ জুন) সকাল থেকে ভারত সীমান্তবর্তী কালিকাপুর, আবদুল্লাহপুর ও ইটনাসহ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করে। বৃষ্টিপাতের কারণে পানিও বাড়ছে গ্রামগুলোতে। বর্তমানে অন্তত ১৫টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে।

কক্সবাজারে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি, ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন
কক্সবাজারে আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতির পাশাপাশি, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চল থেকে প্লাবনের পানি নেমে গেছে। এতে ভেসে উঠতে শুরু করেছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন।

দীর্ঘদিন বন্ধ নোয়াখালী পৌর এলাকার ড্রেন, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালী পৌর এলাকার ড্রেনগুলোতে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে আছে। কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে প্রতিনিয়তই খেসারত দিতে হচ্ছে পৌর বাসিন্দাদের। সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত হয়ে পড়ে পানিবন্দি। যদিও বরাবরের মতোই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

টেকসই বাঁধ না থাকায় আসন্ন বর্ষায় ফের বন্যার শঙ্কায় ফেনীবাসী
গত বর্ষায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলা ফেনী। পানিবন্দি ছিলেন দশ লাখের বেশি মানুষ। এই বন্যায় ক্ষতি ছাড়িয়ে যায় অতীতের সকল রেকর্ড। টেকসই বাঁধ না থাকায় আসছে বর্ষায় আবারও বন্যার শঙ্কায় স্থানীয়রা।

নর্থ কুইন্সল্যান্ডে বন্যার পানি কমলেও বাড়ছে বিপর্যয়
অস্ট্রেলিয়ার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও প্রকট হচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞ। ২৪ ঘণ্টায় গড় বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩শ' মিলিমিটারে।

নেত্রকোণায় বন্যার্তদের মাঝে সেনাবাহিনীর খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
ভারতের ঢলে নেত্রকোণার বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে সেনাবাহিনী। আজ (বুধবার, ৮ অক্টোবর) দুপুরে জেলার পূর্বধলা উপজেলার পানিবন্দি প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়।

৩০ বছরে এমন বন্যার মুখোমুখি হয়নি নেত্রকোণাবাসী
আকস্মিক বন্যায় ভাসছে নেত্রকোণার চার উপজেলা। হঠাৎ আসা পানিতে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন গ্রাম। নদী তীরবর্তীরা বলছেন, গত ৩০ বছরেও এমন বন্যার মুখোমুখি হননি তারা। যদিও বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে বেশ কিছু এলাকায়। দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। প্রশাসন বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারসহ বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুতই কাজ শুরু হবে।

ময়মনসিংহ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি মানুষের
ময়মনসিংহ, শেরপুর ও নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। বেশিরভাগ স্থান থেকেই নামতে শুরু করেছে পানি। তবে, এখনও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের। পানির স্রোতে ভেঙ্গে গেছে অনেক ঘরবাড়ি। দুর্গত এলাকায় তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে খাবার, বিশুদ্ধ পানির। তিন জেলা মিলিয়ে এখনও পানিবন্দি দেড় লাখের বেশি মানুষ।

কংস নদে কমছে পানি বাড়ছে ভাঙন ঝুঁকি
গেল তিনদিন ধরে নির্ঘুম রাত কাটছে কংস নদের তীরবর্তী হাজারও গ্রামবাসীর। বানের জলে ভাসছে গ্রাম থেকে গ্রাম। তবে উজানে নতুন করে কোনো বৃষ্টি না হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয়দের মাঝে।

ময়মনসিংহে পানিবন্দি ৩০ হাজার পরিবার, শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট
বৃষ্টি কমায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে পানিবন্দি এখনো দুই উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের এক লাখের বেশি মানুষ। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। নৌকার অভাবে আশ্রয়কেন্দ্রেও যেতে পারছেন না দুর্গতরা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বৃষ্টি কমে গেলে ১ থেকে ২ দিনের মধ্যেই পানি নেমে যাবে। আর জেলা প্রশাসক জানালেন, বন্যার্তদের পাশে আছে সরকার।

উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
উত্তরবঙ্গের কিছুটা উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। তবে সিরাজগঞ্জে এখনও বিপৎসীমার উপরে যমুনা নদীর পানি। এতে পানিবন্দি জেলার নদী তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। চলতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার একলাখ মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি। একই চিত্র দেখা যায়, জামালপুর ও কুড়িগ্রামে। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার, সুপেয় পানি, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। বাড়ছে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব।