অস্ত্র জমার বিপরীতে আসাদ সেনাদের অস্থায়ী বসতি কার্ড দিচ্ছে এইচটিএস
অস্ত্র ও মূল্যবান সামগ্রী জমা দেয়ার বিপরীতে আসাদ সেনাদের অস্থায়ী বসতি কার্ড দিচ্ছে এইচটিএস। সিরিয়ার রাজধানীতে এই কার্যক্রমের মাধ্যমে নিরপরাধ সেনা সদস্যরা স্বাভাবিক জীবন শুরুর স্বপ্ন দেখছেন। বিদ্রোহী নেতা আবু মোহাম্মাদ আল জুলানির আস্থাভাজন ব্যক্তিদের দেয়া হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এদিকে নতুন সিরিয়ায় কুর্দিদের পরিণতি কী হবে? তা নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা।
দেশ ছেড়ে পালানোর কোনো ইচ্ছেই ছিল না আসাদের
দেশ ছেড়ে পালানোর কোনো ইচ্ছেই ছিল না সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের। নিজের ও পরিবারের ৫৩ বছরের স্বৈরশাসনের পতনের পর আপাতদৃষ্টিতে প্রথম বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। পতনের জন্য দায়ী করেন সেনাবাহিনীকে। এদিকে দামেস্কের গণকবরে আসাদ বাহিনীর হাতে নিহত এক লাখের বেশি মানুষের দেহাবশেষ রয়েছে, বলছে পর্যবেক্ষক সংস্থা।
১২ বছর পর সিরিয়ায় কার্যক্রম শুরু তুরস্ক দূতাবাসের
দীর্ঘ ১২ বছর পর সিরিয়ায় আবারও আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করলো তুরস্ক দূতাবাস। রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত দূতাবাসে উত্তোলন করা হয় তুর্কি পতাকা।
সিরীয় সেনা ঘাঁটিতে রাতভর ইসরাইলের বিমান হামলা
সিরিয়ার লাতাকিয়া ও তার্তুস প্রদেশে সেনাবাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে কয়েক দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। লেবাননের সংবাদ মাধ্যম আল মায়াদীনের তথ্য বলছে, যেসব স্থানে হামলা হয়েছে তার আশেপাশেই ছিল রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি। স্যাটেলাইট ইমেজের বরাতে রয়টার্স জানায়, এরইমধ্যে সেনাঘাঁটি ছেড়ে অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে লাকাতিকা বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছেছে রুশ সেনারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-৪ এর প্রতিবেদন বলছে, শান্তিপূর্ণভাবে সিরিয়া থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের পথ খুঁজছে মস্কো।
সরকার পতনের পর প্রথম শুক্রবার বিজয় উদযাপন সিরীয়দের
স্বৈরাচার আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসন পতনের পর প্রথম শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিজয় উদ্যাপন করলেন সিরীয়রা। দামেস্ক ও আলেপ্পোসহ প্রতিটি শহরেই উল্লাসে মেতেছেন লাখ লাখ মানুষ। এদিকে সরকার পরিবর্তনের পর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি সিরিয়ায় বসবাস করা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও শিয়াপন্থী বাসিন্দারা। তবে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাসের আশ্বাস দিয়েছেন বিদ্রোহী পক্ষের বাসিন্দারা।
সিরিয়ার নতুন শাসকের সঙ্গে হিসাবনিকাশ করেই সিদ্ধান্ত নেবে রাশিয়া
সিরিয়ার নতুন শাসকের সঙ্গে হিসাবনিকাশ করেই সিদ্ধান্ত নেবে রাশিয়া। এরই মধ্যে মস্কোর সিরিয়া রুশ দূতাবাসে নিজেদের পতাকা উড়িয়েছে বিদ্রোহীরা। ইসরাইল বলছে, সিরিয়া ভূখণ্ডে স্বল্প সময়ের জন্য তাদের সেনা মোতায়েন থাকবে। তবে বিদ্রোহীদের কাছে সিরীয় সেনাদের এমন পরাজয় মেনে নিতে পারছে না ইরান। এমন অবস্থায় পশ্চিমা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিয়ে নিজের পরিকল্পনা জানিয়েছেন বিদ্রোহী বাহিনীর প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি।
মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতা সুসংহত হওয়ায় লাভবান ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র!
আসাদের পতন ইরানের আঞ্চলিক শক্তিতে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় আঘাত। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা আধিপত্য বিরোধীরা। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতা আরও সুসংহত হলো বলে লাভবান হয়েছে ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র। তবে একইসঙ্গে এটি ইসরাইলের জন্য বড় হুমকিরও কারণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ায় ঐতিহাসিক পরিবর্তনে সুসময় যেমন ফিরতে পারে, তেমনি অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে পুরো অঞ্চলকে। বিশেষ করে আসাদের পতন ঘটানো বিদ্রোহীদের অনেকেরই যেখানে অতীত ইতিহাস সুখকর নয়, বরং ভয়াবহ।
বিদ্রোহীদের অতর্কিত আক্রমণে কী ক্ষমতার সিংহাসন হারাচ্ছেন আসাদ?
এখনি কিছু বলতে পারছেন না বিশ্লেষকরা
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের লক্ষ্য এখন দামেস্ক। এদিকে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আসাদ পরিবারের মুঠোয় আছে ক্ষমতার সিংহাসন। সরকারের ভেতরের দুর্বলতা, তার সঙ্গে মিত্র দেশগুলোর সহযোগিতায় ভাটা। দুইয়ে মিলে বিদ্রোহীদের অতর্কিত আক্রমণে সিরীয় সরকারের প্রতিরোধ ভেঙে পড়লেও শেষ পর্যন্ত কী ঘটবে- তা এখনো বোঝার উপায় নেই, বলছেন বিশ্লেষকরা।