বাজার স্বাভাবিক করতে উৎপাদক থেকে সরাসরি খুচরা পর্যায়ে ডিম বিক্রি শুরু হয়েছে। ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ ও মধ্যস্বত্বভোগী মুক্ত করতে জোরালোভাবে বাজার মনিটরিং করার হুঁশিয়ারি দিয়ে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, উৎপাদনকারী থেকে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত ডিম বারবার হাত বদল হয়। এতে দাম বাড়ে। এসময় তিনি জানান, খুব শিগগিরই ডিমের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। মধ্যরাত থেকে রাজধানীর কাপ্তান বাজারসহ তেজগাঁও বাজারে আগামী ১৫ দিন প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম বিক্রি হবে এই কার্যক্রমে।

ডিমের বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে সীমিত সময়ের জন্য সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ (মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে ডিমের বাজারে ফের আগুন! সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য প্রোটিন ভাণ্ডার ডিমও এখন হাতের নাগালের বাইরে। সপ্তাহ ব্যবধানে ডজনে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা! খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, যার প্রতি পিস দাঁড়ায় ১৫ টাকা।

ডিমের দাম ওঠানামায় বাজার অস্থির হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে তেজগাঁও ডিম সমিতির কারসাজি আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন। আজ (শনিবার, ২৫ মে) সকালে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

অস্থির হয়ে ওঠা ডিমের বাজারে দাম সহনীয় পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে ফরিদপুরের বিভিন্ন বাজার ও আড়তে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে শহরের বিভিন্ন ডিমের ডিলারের গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৩ প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

গত কয়েকদিন ধরে অস্থিতিশীল ডিমের বাজার। উৎপাদন খরচ না বাড়লেও সমিতির সিদ্ধান্ত মেনে প্রতি পিস ডিমে অন্তত ৩ টাকা দাম বাড়িয়েছেন খামারিরা। এরপর কয়েকবার হাত বদল হয়ে প্রতি পিস ডিমে ভোক্তাদের বাড়তি দুই থেকে আড়াই টাকা গুণতে হচ্ছে।

ফের অস্থির ডিমের বাজার। গেল সপ্তাহের ১২০ টাকা ডজনের ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে দেড়শ' টাকায়। আর খুচরা বাজারে ক্রেতার কাছ থেকে প্রতি পিস রাখা হচ্ছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, তীব্র গরমে অনেক মুরগি মারা যাওয়ায় কমেছে সরবরাহ, তাই বেড়েছে দাম।