জলবায়ু-পরিবর্তন  

নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলন

নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলন

উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলোর মতবিরোধের জেরে অতিরিক্ত সময়ে চলছে কপ টোয়েন্টি নাইন জলবায়ু সম্মেলন। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত অনুন্নত দেশগুলোকে বছরে ২৫ হাজার কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে। যদিও একে ন্যায় সম্মত নয় দাবি করে, বরাদ্দ আরো বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। দুই পক্ষকেই আপস করার আহ্বান ছিল জাতিসংঘ মহাসচিবের কণ্ঠে।

জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যয়ের মুখে উন্নত-অনুন্নত সব দেশ

জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যয়ের মুখে উন্নত-অনুন্নত সব দেশ

উন্নত দেশগুলোর ক্রমানুগতিতে কার্বন নিঃসরণ প্রতিযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে হিমবাহ গলে ঝুঁকিতে পড়ছে পার্বত্যাঞ্চলের জনবসতি। এমনকি এসব অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি ও জনজীবন বদলে দিচ্ছে চিরতরে। গবেষকরা বলছেন, কার্বন নির্গমন কমানো না গেলে এ শতাব্দীতেই হিমালয়ের দুই-তৃতীয়াংশ হিমবাহ গলে যেতে পারে। এতে বাড়ছে বন্যা, বৃষ্টিপাত, তুষারপাতের ধরনও। বিপর্যয়ের মুখে পড়বে উন্নত ও অনুন্নত সব দেশই।

আজারবাইজানসহ বিভিন্ন স্থানে পরিবেশকর্মীদের বিক্ষোভ

আজারবাইজানসহ বিভিন্ন স্থানে পরিবেশকর্মীদের বিক্ষোভ

জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন, কপ টোয়েন্টি নাইন চলাকালে আয়োজক দেশ আজারবাইজানে বিক্ষোভ করেছে পরিবেশবাদীদের একাংশ। শনিবার, বাকুতে কপ সামিটের মূল ভেন্যু একটি সাধারণ কক্ষে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, উন্নত রাষ্ট্রগুলো আর্থিক অনুদান না বাড়ালে অনুন্নত ও দরিদ্র রাষ্ট্র কখনোই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে পারবে না। এছাড়া পরিবেশ দূষণের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্লাইমেট প্যারেড। আর জি টোয়েন্টি সম্মেলন শুরুর প্রাক্কালে জোটের নেতাদের উদাসীনতার প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে ভিন্নধর্মী এক প্রদর্শনী করেছে ব্রাজিলের আদিবাসী সংগঠন।

পরিবেশ ধ্বংসের জন্য দায়ী উন্নত বিশ্ব ও রাষ্ট্রপ্রধানদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

পরিবেশ ধ্বংসের জন্য দায়ী উন্নত বিশ্ব ও রাষ্ট্রপ্রধানদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

পরিবেশ ধ্বংসের জন্য দায়ী উন্নত বিশ্ব ও তাদের রাষ্ট্রপ্রধানদের বিরুদ্ধে এবার বিশ্বমঞ্চে বড়সড় বিক্ষোভ করলেন হাজারো পরিবেশকর্মী। সেখানে অংশ নিয়ে পরিবেশকর্মীরা জলবায়ু পরিবর্তন ও গাজায় গণহত্যার জন্য বিশ্বমোড়লদের দায়ী করেন। পরিবেশ রক্ষায় এই সম্মেলন কতটুকু কার্যকর, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিভিন্ন দেশের পরিবেশকর্মী।

জলবায়ু ক্ষতিপূরণে প্রান্তিক দেশগুলোর প্রয়োজন প্রায় ৬ লাখ কোটি ডলার

জলবায়ু ক্ষতিপূরণে প্রান্তিক দেশগুলোর প্রয়োজন প্রায় ৬ লাখ কোটি ডলার

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিপূরণে প্রান্তিক দেশগুলোর প্রতিবছর প্রয়োজন প্রায় ৬ লাখ কোটি ডলার। যা দিতে গড়িমসি করছে বিশ্ব মোড়লরা। যতটুকু প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তাও ছাড়ের ক্ষেত্রে নেই কোনো অগ্রগতি। এছাড়া এবারের জলবায়ু সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, কানাডা, চীনের মত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা না আসায় ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়ে শঙ্কা আরো ঘনীভূত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নত দেশগুলো না আসায় প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড় ব্যাহত হতে পারে।

প্রতিবছর জলবায়ু সম্মেলন না করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে নজর দেয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের

প্রতিবছর জলবায়ু সম্মেলন না করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে নজর দেয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের মঞ্চেই এবার এই সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বললেন, সম্মেলনের নামে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ডেকে সময় অপচয়কে পাশাপাশি করা হচ্ছে অপমান। তাই প্রতিবছর এ ধরনের সম্মেলন না করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এদিকে আজারবাইজানে তার সফরের শেষদিন দেশটির রাষ্ট্রপতির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ঢাকায় হাইকমিশন স্থাপন ও বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে পূর্ব ইউরোপের দেশটি।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অনুদান বাড়ানোর পরামর্শ চীনের

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অনুদান বাড়ানোর পরামর্শ চীনের

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আর্থিক অনুদান বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি চীন। অন্যদিকে রাশিয়ার অভিযোগ, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ইস্যু ব্যবহার করে অসুস্থ এক প্রতিযোগিতায় নেমেছে কোনো কোনো দেশ। যদিও, জি টোয়েন্টি জোটভুক্ত দেশগুলোর আচরণে ক্ষুব্ধ জাতিসংঘ মহাসচিব। বলেন, জলবায়ু ইস্যুতে উন্নত রাষ্ট্রের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রতিনিয়ত বিপদে পড়ছে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো।

অপরিকল্পিত উন্নয়ন যত হবে তত বেশি ধ্বংসের মুখে পড়বে বিশ্ব: ড. ইউনূস

অপরিকল্পিত উন্নয়ন যত হবে তত বেশি ধ্বংসের মুখে পড়বে বিশ্ব: ড. ইউনূস

২৯তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সভ্যতা এখন হুমকির মুখে বলে বিশ্বনেতাদের সতর্ক করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে। এই সংকট মোকাবিলায় জ্ঞান, অর্থ আর নতুন প্রজন্ম এক হয়ে কাজ করলে রক্ষা করা যাবে এই সভ্যতা। বুধবার আজারবাইজানের বাকুতে ২৯তম জলবায়ু সম্মেলনে লিডার সামিটে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশ‍্যে দেয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। এসময় তিনি জলবায়ু রক্ষায় নতুন করে বিশ্বের সামনে 'থ্রি জিরো' নীতি তুলে ধরেন।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করবে ট্রাম্প

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করবে ট্রাম্প

জানুয়ারিতে শপথ গ্রহণের পর ফের 'প্যারিস জলবায়ু চুক্তি' থেকে দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করে নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, জানিয়েছেন দেশটির জলবায়ু বিষয়ক প্রতিনিধি। আর ২০৩৫ সাল নাগাদ যুক্তরাজ্যের গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ ৮১ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

'জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন জরুরি'

'জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন জরুরি'

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন সবচেয়ে জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। বলেছেন, এ ক্ষতি মোকাবিলায় অর্থ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ২৯তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিয়ে আজ (মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে তরুণদের সাথে এক মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধে দরকার প্রতিদিন ১০০ কোটি ডলার

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধে দরকার প্রতিদিন ১০০ কোটি ডলার

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি ডলার প্রয়োজন। অথচ মিলছে মাত্র সাড়ে ৭ কোটি ডলার। ধরিত্রীকে রক্ষায় আজারবাইজানের বাকুতে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের প্রায় ২শটি দেশের প্রতিনিধি। জাতিসংঘ বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনের সভাপতির কণ্ঠে ছিল বিশ্বকে বাঁচানোর আহ্বান। সঙ্গে নিজ নিজ দেশ দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্যে হলেও ক্লাইমেট ফাইনান্সের ওপর জোর দিয়েছেন বক্তারা।

জলবায়ু পরিবর্তনে গত দশকে ২ লাখ কোটি ডলারের ক্ষতি

জলবায়ু পরিবর্তনে গত দশকে ২ লাখ কোটি ডলারের ক্ষতি

জলবায়ু পরিবর্তনে চরম বৈরি আবহাওয়ার কারণে গেল দশকে ২ লাখ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির।