স্থগিত এসএ গেমস: অনির্দিষ্টকালের বিরতিতে অ্যাথলেটরা

পুলো সাঁতার কাটছেন ও ব্যাডমিন্টন খেলছেন
পুলো সাঁতার কাটছেন ও ব্যাডমিন্টন খেলছেন | ছবি: এখন টিভি
0

এসএ গেমস স্থগিত ঘোষণার পর পুলে-কোর্টে নেই খেলা। অনির্দিষ্টকালের বিরতিতে চলে গেছেন দেশের অ্যাথলেটরা। আর প্রতিযোগিতা না থাকায় আর্থিক সংকটের মুখে কোচদের বিদায় করতে বাধ্য হয়েছে তিনটি ফেডারেশন। নতুন কোচ আসার পথও অনেকটাই রুদ্ধ। ইচ্ছে থাকলেও তাই বাধ্য হয়েই কার্যক্রম গুটিয়ে রেখেছে একাধিক ফেডারেশন।

ইসলামিক সলিডারিটি গেমস আর এসএ গেমসকে কেন্দ্র করে দেশে এসেছিলেন একের পর এক বিদেশি কোচ। টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন আর সাঁতার ফেডারেশন মোটা বেতনে নিয়োগ দেয় থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া আর মিশর থেকে আগত কোচদের। নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কোচের অভিজ্ঞতা আর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ছিল নানা প্রশ্ন।

তবে এসএ গেমস স্থগিতের ঘোষণা আসার পর থেকেই বিদায় নিয়েছেন এসব কোচ। নিয়োগের মতো বিদায়ের সময়েও এসব কোচ নিয়ে থেকে গেছে নানা প্রশ্ন। কেবলমাত্র আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় ক্যাম্প পরিচালনা থেকে সরে এসেছে ফেডারেশনগুলো। ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন কোর্টে খেলা ফেরালেও কোচ ইস্যুতে ভুগছে দ্বিধাদ্বন্দ্বে। আর সাঁতার ফেডারেশন আপাতত ক্যাম্প বা কোচের ভাবনা থেকেই অনেকটা দূরে।

বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির সুমন বলেন, ‘তিন মাস পরে প্লেয়ারগুলো স্টপ হয়ে গেল। আমরা কোচও পাঠাতে বাধ্য করলাম। এখানে অনেক অর্থের ব্যাপার ছিলো। যেটি এনএসসিতে বলেছিলো কোচের ব্যাপারে টাকা দিবে সে অনুযায়ী আমরা কোচ এনেছি। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা ক্যাম্পগুলো করিয়েছি।’

আরও পড়ুন:

বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন বলেন, ‘যেহেতু এখানে একটি ব্যয়বহুল ব্যাপার। সেক্ষেত্রে কোচের শুধু স্যালারিই না আমাদের যে পানি ফিল্টারেশন করতে হয় এত আমাদের প্রতি মাসে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা বিল আসে। এটি আমোদের জন্য একটু কঠিন হয়ে যায়।’

একই পরিস্থিতি টেবিল টেনিসেও। পদকজয়ী তারকা জাভেদ আহমেদ জানালেন, নতুন কোচ নিয়ে আলোচনা চললেও নিয়োগ থেমে আছে আর্থিক জটিলতার প্রশ্নে।

বাংলাদেশ টেবিল টেনিসের খেলোয়ার জাভেদ আহমেদ বলেন, ‘এখানে বাজেটেরও একটি ব্যাপার থাকে। বাহিরে থেকে কোচ আনতে গেলে তার হোটেল সবকিছু মিলিয়েই বড় একটি বাজেটের ব্যাপার থাকে। ফেডারেশন থেকে চেষ্টা করছে দ্রুত কোচ এনে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে।’

দেশের ফেডারেশনগুলো কোচ কিংবা নিজস্ব সমস্যা সমাধানের জন্য পুরোপুরি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপরেই নির্ভর করে। দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনার পর নিজস্ব আর্থিক উৎস তৈরি করতে না পারাকে অবশ্য নিজেদের ব্যর্থতা মানতেও নারাজ এসব কর্তাব্যক্তিরা।

এফএস