শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর কমপ্লেক্সে টেবিল টেনিসের ব্যস্ততা। ঘরোয়া টেনিসে আছে ফেডারেশন কাপ। সেটাই ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের আগে বাংলাদেশের প্রস্তুতির বড় মঞ্চ। ৫৭ দেশের এ প্রতিযোগিতা কেন্দ্র করেই অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন টেবিল টেনিসের নিয়মিত মুখেরা। তবে অনুশীলনের বড় শূন্যতা প্রধান কোচ প্যাটারাথর্ন পাসারার না থাকা। ২৫ বছর বয়সী এ থাই কোচ ব্যস্ত নিজ দেশের টুর্নামেন্টে।
পাসারা নিজে এখনও খেলোয়াড়। র্যাঙ্কিং ধরে রাখতেই তাই উড়াল দিয়েছেন নিজের দেশে। তাকে ছাড়াই আগামী ৫ নভেম্বর রিয়াদে যাবে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস দল। কিন্তু আন্তর্জাতিক আসরের আগে কোচের না থাকায় হতাশা খেলোয়াড়দের মাঝে।
বাংলাদেশ টেবিল টেনিসের খেলোয়ার খৈ খৈ মারমা বলেন, ‘এক মাস আগে থাইল্যান্ডের কোচ এসেছিলো। আমাদের প্রিপারেশন ভালো। তবে কোচ কন্টিনিউ করলে আরও ভালো হতো। কারণ আমাদের দেশে ভালো কোনো কোচ নেই। বাহিরের দেশের সঙ্গে বিট করার জন্য কোচ নেই। ভালো কোচ থাকলে আমরা হয়তো আরও ভালো করতাম। আমরা ভালো কিছু দেয়ার চেষ্টা করব।’
দেশের টেবিল টেনিসের পুরাতন মুখ খন্দকার আল মোস্তফা বিল্লাহ। টিটির বর্তমান অ্যাডহক কমিটিতে আছেন সদস্য হিসেবে। অভিজ্ঞ এ কোচের অধীনেই রিয়াদে খেলবেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। ফেডারেশনের এ কর্তার কণ্ঠেও পাসারার অনুপস্থিতির হতাশা।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন সদস্য খন্দকার আল মোস্তফা বিল্লাহ বলেন, ‘পাসারাকে মিস করে খারাপ লাগছে। তবে কিছু করার নেই। সে একজন কারেন্ট প্লেয়ার। তার দেশে তার টুর্নামেন্ট থাকার কারণে চলে গেছেন উনি।’
দেশি কোচ মাহমুদুজ্জামান শাহেদ অবশ্য আশাবাদী দল নিয়ে। জানালেন, নিয়মিত খেলার মাঝেই আছেন টিটির তারকারা। আর খন্দকার মোস্তফার চাওয়া গেল আসরের সাফল্যটাই ধরে রাখবে বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশ টেবিল টেনিস কোচ সৈয়দ মাহমুদুজ্জামান শাহেদ বলেন, ‘প্লেয়াররা সবাই প্যাকটিসের মধ্যে আছে। ফিজিক্যাল ফিটনেসের কারণে তারা খুব ভালো করছেন। ফিজিক্যালি তারা আগের থেকে অনেক বেশি ফিট। সবকিছুই আমরা নজরে রাখছি।’
খন্দকার আল মোস্তফা বিল্লাহ আরও বলেন, ‘আমাদের গতবারের ফলাফলটাই আমরা ধরে রাখতে চাই।’
ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়ে ২৫ বছর বয়সী কোচ পাসারাকে দায়িত্ব দিয়েছিল ফেডারেশন। টেবিল টেনিসের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বড় ভরাডুবির পর এশিয়ান গেমসে এসেছিল উন্নতি। তবে গুরুত্বপূর্ণ আসরে কোচের না থাকা বড় অভাব হতে পারে টিম বাংলাদেশের জন্য।





