অন্য সব খেলা
এখন মাঠে
0

৮৮ বছর বয়সে ৪২ কিলোমিটার দৌড়!

৮৮ বছর বয়সে দৌড়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছেন গ্রিসের প্লাউটার্কাস। বিখ্যাত গ্রিক ম্যারাথনের ১২তম আসরে ৪২ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটার দূরত্ব গেলবারের চেয়ে ১৮ মিনিট আগেই শেষ করেছেন এই দৌড়বিদ। অসাধারণ জীবন আদর্শে চলা এই বৃদ্ধ হয়েছে তরুণদের পথপ্রদর্শকও। ৮৮ বছরের এই অসাধারণ দৌড়বিদের বাকি গল্প জানা যাবে আজকের এই প্রতিবেদনে।

ইচ্ছা শক্তি! তীব্র ইচ্ছা থেকে নানা অসম্ভবকে সম্ভব করার প্রয়াস চালান অনেকে। তবে কেউ সফল হন কেউ আবার ব্যর্থ তালিকায় নিজের নাম লেখান। আবার হার না মানা লোকের সংখ্যাও কম নয়।

এমনই একজন প্লাউটার্কাস। অনেকে চমক উঠেন তার বয়স শুনে। আবার মশকরাও করেন অনেকে। এবার এই প্লাউটার্কাসই ৮৮ বছর বয়সে গ্রিসের বিখ্যাত গ্রিক দৌড়ে অংশ নিয়ে বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। প্রতিযোগিতায় শুধু অংশ নিয়ে নয়, টানা সাড়ে ছয় ঘণ্টা ধরে দৌড়ে আসর শেষ করে গলায় পড়েছেন মেডেলও।

ম্যারাথন দৌড়ের উত্থান এথেন্স শহরে। সেখানে বেড়ে ওঠেন প্লাউটার্কাস। সাধারণ জীবন অতিবাহিত করা এই দৌড়বিদের ম্যারাথনের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় ৭৩ বছর বয়সে। তার ছেলেকে দেখে নিজ বাড়ি কাস্তোরিয়ায় ধীরে ধীরে দৌড়ের মাত্রা বাড়ান প্লাউটার্কাস।

তিনি বলেন, 'অনুশীলন করলেই সাফল্য আসবে ব্যাপারটা তা নয়। একইসঙ্গে আপনার ইচ্ছা থাকাটা জরুরি। যে কাজটা করছেন তাতে আপনার মন সায় দিয়ে দ্রুত সময়ের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।'

গেলবারের চেয়ে এবার ১৮ মিনিট আগেই দৌড়ের দূরত্ব ৪২ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটার পার করেছেন এই দৌড়বিদ। অকল্পনীয় মানসিক শক্তির এই বৃদ্ধের জীবনযাপন ব্যবস্থাও অন্যদের জন্য অনুকরণীয়!

প্লাউটার্কাস বলেন, 'যারা আমাকে দেখে তারা বিশ্বাস করে না যে বা এত বয়সের হয়েও নিয়মিত ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি। তবে আমার মতে সবারই কম বেশি দৌড়ানোর সামর্থ্য আছে। আমি ধূমপান, মদ্যপান করি না। পরিমিত পরিমাণ খাবারের অভ্যাসের সঙ্গে রাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করি। আমার মতে সুস্থভাবে বেঁচে থাকাতে এর পাশাপাশি দৌড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।'

তরুণ সমাজের জন্য এমন অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করা ৮৮ বছরের এ বৃদ্ধ দৌড়াতে চান জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।

এসএস